পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

<e> [ Jsi†ሞዛ লৌকিক-ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় যে-সব ছবি কাপড়ের উপরে রকমের ফ্রেম বাধা হ’ত, তার সাহায্যে সমস্ত কাগজখানা আঁকা হ’ত, চিত্ৰিত বিষয়ের প্রকৃতি অনুরোধে তাদের রচনাপ্ৰণালী স্বভাবতই একঘেয়ে হ’য়ে পড়ত। এই ধরণের ছবি বাদ দিলে সব চেয়ে পুরাণে যে-সব পট আমরা দেখতে পাই, সে-সমস্তইরোমায়ণের কাহিনী নিয়ে অঙ্কিত। আমাদের দেশে যুগালরূপ কোষ্ঠীপত্র যেরূপ ভাবে রাখা হয়, এই ছবিগুলিও তেমনি পাকিয়ে পাকিয়ে রাখা হ’ত । সাধারণত রামায়ণ থেকে সাত-আটটি ঘটনার চিত্র একটার নীচে আরেকটা করে অ্যাকা হত। এগুলি প্ৰায়ই কাগজের উপরে অ্যাকা দেখা যায়। এই ছবিগুলির দু-দিকে বঁাশের কঞ্চি দিয়ে এক খুলে ধরা যেত। আর মাটিতে বিছিয়ে রাখার সুবিধাও হ’ত। এই রকম করে রেখে শিল্পীরা গ্রামের সাধারণ লোকদের কাছে ছবিগুলির ব্যাখ্যা করত-আবার এর সঙ্গে গান ক’রে ক’রে তারা গ্ৰাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে বেড়াত। কৃষ্ণচরিত্র নিয়ে এই ধরণের ছবি একেবারে যে নেই তা নয়, তবে তা খুবই কম দেখতে পাওয়া যায়। এই সব ছবির ইতিহাস পৰ্যায়ক্রমে খুঁজে বার করা এক অসম্ভব ব্যাপার, कांब्रश उाप्नद्र भूद थांौन नियमन दए थक cमथाई यांत्र না, আর তাদের সম্বন্ধে কোন লিখিত বিবরণও পাওয়া a পালরাজাদের সময়কার অতি সুন্দরভাবে পরিচিত্রিত বৌদ্ধধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় পুথিগুলির কথা স্বতন্ত্র। তার পর পুথির পাটার কথা বলতে হয়। এগুলির মধ্যে যা সব চেয়ে বেশী প্ৰাচীন তা শ্ৰীষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীর। এই “পাটা” । শব্দটি ‘তক্তা” অর্থে সংস্কৃতে যে “পট্ৰ’ শব্দ ব্যবহার হয় তা থেকেই বাঙলায় চলে গেছে। “পাট’ ও রামায়ণक्रियांबौव्र भटक्षा दफु धाकटे गांधूंश शृंख श्री अब्रा वांद्र ना । তবুও প্রাচীন বাঙলার যে-সব শিল্পী শেষোক্ত ছবিগুলি একেছে, তাদের হাতের কাজ দেখে মনে হয় যে, তাদের বহুপূৰ্ববৰ্ত্তী পালরাজাদের সময়কার শিল্পীরা রেখাঙ্কনে যেরূপ সুদক্ষ ছিল এরা বহু শতাব্দী পরেও সে নিপুণতা একেবারে হারিয়ে ফেলে নি। শ্ৰীযুক্ত অজিত ঘোষের সংগ্রহে রক্ষিত প্ৰাচীন রামায়ণ-চিত্রাবলী আখ্যানচিত্রের বেশ ভাল নিদর্শন। এই চিত্ৰ-পৰ্য্যায়ের প্ৰথম খানিতে দেখানো হয়েছে যে, সুৰ্পনখা সুন্দরী নারীর রূপ ধরে এসে পঞ্চবটী বনে (লতা আর তালি গাছ একে বনের সুচনা করা হয়েছে) লক্ষ্মণকে ভোলাবার চেষ্টা কবৃছে আর লক্ষ্মণ তাকে উপেক্ষা করছেন। অবশেষে দেখতে পাই, লক্ষ্মণ তার নাক কেটে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। এই সব রামায়ণী ছবির প্রাচীন ও সাদাসিধে ধরণ, মুক্তি অঙ্কনের শক্তি ও নৈপুণ্য, আর এ-গুলি থেকে যে একটা বিশালতার আভাস পাওয়া যায়। এ সমস্ত দেখে এই সিদ্ধান্তই আমাদের মনের মধ্যে বস্তুমুল হয়ে যায় যে, আগে দেয়ালের