পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RGV) ܥܔaܐܝ [ শ্রাবণ

  • ழுது"

“না, মা কালীর না। আমাল পাতা” বলে মন্ত তার অসংযত কায়াকে গগনস্পশাঁ ক’রে তুললে। ‘ফের ঐ কথা পাজী ছেলে’ ব’লে মন্তর মা মস্তুর মুখের উপর হাত চাপা দিলেন । দুৰ্গমনীয় রুদ্ধ বেদনায় কেঁপাতে কেঁপাতে মন্তর স্বাসরোধের উপক্রম হলো । রাত দুই প্ৰহরের পর যখন সমস্ত বাড়ী নিশুতি হ’য়ে গেছে, তখন মন্তুর মা তার পাশ্বশায়িত শিশুকে ধীরে ধীরে বুকের মধ্যে টেনে নিয়ে তার নবনীতুল্য কপোলে অধর স্পর্শ করলেন । “আহা বাবা আমার-কত বিকেচি, কত কেঁদেচ’ মুহুস্বরে এই কথাগুলি তার স্নেহাৰ্ত্ত মাতৃহৃদয়ের নিগুঢ় মৰ্ম্মস্থল হতে নিঃস্থত হলো। বন্ধান্ধুৰূ নদীবক্ষের শেষ তরঙ্গের মত মন্থর কচি বুকখানির উপর দিয়ে একটি নদীত উচ্ছাস বয়ে গেল। ত্ৰান্ত বিস্ময়ে SH BDDBDB D DBDYSLD DBBS LLLB DBBDiDS gB ফুলচে ?” নিরুত্তর মন্তুর বুকখানি এবার দুটি ঘন আন্দোলনে উদ্বেলিত হয়ে উঠলো-কিন্তু ঐ দুটা আন্দোলনেই যেন দুই সহস্র ভাষায় ব’লে উঠলো-“আমাল পাত-আমাল পাতা”। পরদিন প্ৰত্যুষ হতেই আবার বাড়ীময় কৰ্ম্মকোলাহল জেগে উঠলো। সকলেই যে যার তালে ব্যস্ত। মন্তর মা প্ৰাতঃস্নান সেরে নিয়ে সেই যে রন্ধনশালায় ব্যাপৃত হয়েচেন আর একবারও বাইরে বেরোবার অবকাশ পাননি। মধ্যাহ সুৰ্য্যের খরা উত্তাপে কয়েকজন নিমজ্জিত ব্যক্তি বহির্বাটীতে বসে গাত্ৰোত্থানের প্রতীক্ষা করচেনা দুরন্থ DBB DBBDB DD EBB BDD DDO BB DDD ঘন তীক্ষ্ণ চীৎকার দিকদিগন্তে ছড়িয়ে পড়াচে। জয়শঙ্করবাবু হাকোহন্তে রন্ধনশালার কানাচে গিয়ে মাঝে মাঝে সংবাদ নিচ্চেন “আর কতদূর বাকি’। মন্তুর মা’র অর্ধসিক্ত আলুলায়িত কুন্তল কোনকালে শুকিয়ে কড়াকড়ে হয়ে গিয়েচে । তিনি বারবার তার তৈলহরিদ্রারজিত বসনাঞ্চল দিয়ে কপোলসজাত মুক্তাবিন্দুগুলিকে অপসারিত কারচেন। হঠাৎ তার মনে পড়ে গেল যে সকাল হতে BDLY sBLLL D LLLLLLD S BBBBBB ভার জনৈক প্রতিবেশিনীয় হাতে সমৰ্পণ ক’রে তিনি দুধের বাটী নিয়ে মত্তর খোজে বেরিয়ে পড়লেন-কিন্তু কোথায় মন্তু ? কেউ আজ তাকে দেখেনি।-কেউ আজ তার সন্ধান রাখে না। বিবৃদ্ধ উদ্বেগে অধীর হয়ে তিনি বাড়ীর চতুর্দিকে ছুটে বেড়াতে লাগলেন। শেষে পুকুরধারে গিয়ে দেখেন যে, মন্তু বিষঃ-গম্ভীর মুখে কুলগাছের তলায় বসে আছে- তার কোলের উপর একটি অৰ্দ্ধভুক্ত কুলের ডাল। “ও মা গো-এইখানে ব’সে আছিস ? আর আমি সাত রাজ্যি তোকে খুঁজে বেড়াচ্চি। তোর পেটে কি ক্ষিদে লাগে না ?” এই ব’লে তিনি মন্তুর রক্তিম গণ্ডস্থলে ঠাস করে একটি চড় বসিয়ে দিলেন। কিন্তু বসিয়ে দিয়েই চমকে উঠলেন। তার হাত ছ্যাক ক’রে উঠলো কেন ? কপালে হাত দিয়ে দেখেন কপালখানা আগুনের মালসার মত ধৰ ধৰ্ম্ম করচে। তাড়াতাড়ি পুত্রকে বুকে তুলে নিয়ে তিনি বাড়ী চলে এলেন এবং বিছানায় শুইয়ে দিয়ে। তার মাথার উপর সজোরে পাখার বাতাস করতে লাগলেন। गांब्रांनिष्ठे भड् निडू इ८ °फु ब्रशेटणा क्खि সন্ধ্যার বেঁকে সে মাঝে মাঝে বিছানার উপর উঠে বসতে লাগলো-এবং আপন মনে বলতে লাগলো“আমাল পাতা’ । মন্তুর মা কঁাদ-কাদম্বরে বল্লেন, “কি बांदा भरु' ? भख् छ्त्रांश्रन भन्हे बगड गांशृंग्णा-'भा कांठौष्ठ পাতা না, আমাল পাতা”। জয়শঙ্করবাবু মুখ বিকৃত ক’রে বলেন ‘হায় হায়, মজালে দেখচি ৷ এখনো বলে আমার পাঠা ।” মন্তর মা উৎকণ্ঠ-বিহবল ব্যস্ততার সঙ্গে বল্পেন“ওগো তারিণী কবিরাজকে ডেকে আনে।” অসহিষ্ণুর মত মাথা নেড়ে জয়শঙ্করবাবু বল্লেন “তারিণী কবিরাজের বাবাও কিছু করতে পার্বে না। এ ত সে অর নয়এ সাক্ষাৎ মায়ের কোপ ” “তবে কি হবে ?” ব’লে মন্তর মা ফুপিয়ে কেঁদে উঠলেন। জয়শঙ্করবাবুও কেঁাচার কাপড়ে নেত্রমার্জন করে বল্লেন-‘আর কি হবে ? এসো মানসিক ক’রে দেখি।” তখন সেই প্রৌঢ় দম্পতি একত্রে গলায় কাপড় দিয়ে উৰ্দ্ধকরপুটে এই মানসিক করতে লাগলেন- ‘মা, বজাত ছেলের অপরাধ মার্জন করো ; আসূচে আমাবস্তায় দিন আবার জোড়া পাঠা দিয়ে তোমার পুজো দোব।”