পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sees) করতে হয় তাহলে হয়ত তার ফলে পড়বার ঘরে চোকবার ইচ্ছেটাই কমে যাবে।” বিজনাথ কহিলেন, “সে ইচ্ছে তোমার এত বেশী পরিামাণে আছে যে, একটু ক’মে গেলেই বোধ হয়। ভাল হয়। তা ছাড়া এর উপস্থিত ফল এই হবে যে, তোমার একখানি ছবি পাওয়া যাবে আর আটষ্ট কিছু টাকা পাবেন।” কমলা বলিল, “তা বেশ ত; তোমার কিম্বা পদ্ম-ঠাক“মার ছবি হ’ক না-আটষ্ট ও টাকা পান।” নিকটে দাড়াইয়া- একটি প্ৰৌঢ়ী বিধবা বিজনাথের আহারের তত্ত্বাবধান করিতেছিলেন ; ইহারই নাম পদ্মমুখী। সম্পর্কে ইনি দ্বিজনাথের দূরসম্পৰ্কীয়া পিসিনিঃসন্তান অবস্থায় বিধবা হইবার পর বিজনাথের সংসারে আশ্ৰয় পান। নিম্ফল নিরবলম্ব জড় জীবনকে কৰ্ম্মস্রোতে "ফেলিয়া যথাসম্ভব সচল করিবার উদ্দেশ্যে বিজনাথের মাতা পদ্মমুখীর উপর সংসার পরিচালনার ভারাপর্ণ করেন। তদবধি পদ্মমুখা সংসারের কত্রীস্বরূপ আছেন। কমলার কথা শুনিয়া তিনি বলিলেন, "রক্ষে করুভাই । পদ্মঠাকুমার আর ছবিতে কাজ নেই। তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে-এখন তোদের আশ্রয় ছেড়ে কোনো রকমে মা গঙ্গার আশ্রয়ে যেতে পারলেই বঁচি ” শেষোক্ত কামনাটি পদ্মমুখী কথায়-বাৰ্ত্তার সুবিধা পাইলেই ব্যক্ত করিতেন, সুতরাং নিৰ্বিচারে বহু ব্যবহারের ফলে কথাটি সকলের কাছে এমন সহজ হইয়া গিয়াছিল যে, তাহা লইয়া কৌতুক-পরিহাস করিতেও কাহারে বাধিত না-বিশেষত কমলার। কমলা হাসিয়া বলিল, “তাহ’লে ত’ তোমারই ছবি আঁকানো সকলের চেয়ে বেশী দরকার পদ্ম-ঠিাকুমা ?” পদ্মমুখী কহিলেন, “কিছু দরকার নেই ভাই। যম যেদিন নিতে আসবোলে-দিন আমাকে একবারেই ছুটিদিল। তারপরে আমাকে দেওয়ালে টাদিয়ে রাখবার ব্যবস্থা করিসনে ৷” YE DBBDSSDD D BD DD DLDD LBLB LL LBBB DD DBD K BuSDD YSDD LLS LBBB অনেকগুলিই আছে-তা থেকে এনলার্জমেন্ট করিয়ে অনায়াসেই দেওয়ালে টাঙ্গানো যেতে পারবে - UNistej &AÑŝParaNo sggcrotrofa • • • • • ̈: ፰ - ኣ Ryšio. এ কথায় অবত পদ্মমুখীর মুখে বেদনা অথবা বিহলতার কোনো লক্ষণ দেখা গেল না। মৃত্যুর পরেই এই বাসনা-কামনা-মোহ-মমতার: জালে জড়িত জীবনের সমস্ত স্মৃতি নিঃশেষে বিলুপ্ত না হইয়া কোনো একটা উপায় অবলম্বনে কিছুকাল বাচিয়া থাকিবে, এ লোভ হইতে *चौब्र शङ शांश्च७ शूङ नग्न । यौवन 6ष नवंब्र, धरे शश्দুঃখের এইটুকু সাত্মনার জন্য সাধারণ মানবচিত্ত লুদ্ধ। কথায় কথায় কথাটা এমন গতি লইল যে, মিনিট পাঁচেক পরে কাহারো মনে রহিল না, কথাটার উৎপত্তি কেমন করিয়া কোথায় হইয়াছিল। পরদিন প্ৰাতঃকালে যথাসময়ে আটই বিনয়ীভূষণ দ্বিজনাথের গৃহে আসিয়া উপস্থিত হইল। চিত্রাঙ্কনের সমস্ত সরাজাম সে লইয়া আসিয়াছিল। বিজনাথ তখন গৃহ সম্মুখে পুম্পোন্তানে বেড়াইতেছিলেন। বিনয় নিকটে আসিয়া অভিবাদন করিয়া তিমুখে বলিল, “আমি কি একটু আগেই এসেছি ?” । ব্ৰিজনাথ সহানুভমুখে বলিলেন, “আগে আসেননি, ঠিকই এসেছেন। আর যদিই বা একটু আগে এসে থাকেন। তাতে কোনো ক্ষতি হয়নি। চলুন, বসবেন চলুন। কমলারও তৈরী হ’তে বোধ হয় একটু দেৱী আছে।” ব্যস্ত হইয়া বিনয় বলিল, “তা থাক।--তার জন্যে তাড়াতাড়ি করবার কোনো দরকার নেই। জিনিষগুলো গুছিয়ে নিতেও ত” আমার সময় লাগবে। তাছাড়া কোথায় বসে ছবি আঁকা সুবিধা হবে।--তাও ঠিক ক’রতে হবে।” “বেশ, প্ৰথমে তাহ’লে সেইটেই ঠিক করুন।” বলিয়া ৰিজনাথ বিনয়কে লইয়া বারাণ্ডায় উপস্থিত হইলেন এবং গৃহের তিন দিকের বারাণ্ডা, ড্রয়িং রুম এবং অপরাপর স্থান দেখাইলেন। সমস্ত ঘুরিয়া ফিরিয়া দেখিয়া বিনয় পূর্বদিন দক্ষিণের বারাণ্ডায় যেখানটায় আসিয়া বসিয়াছিল সেইখানটাই পছন্দ, করিল। আলো-হায়ার সমন্বয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্ঘ্যের আবেষ্টন-এ সব সুবিধা সেখানে ত” ছিলই, তাহা ছাড়া আর বে। সেখানে এমনকি জিনিষ ছিল যাহার জন্য অপর কোনো জায়গাই তা হয় ।