9 a. ১ । ভানুসিংহ ২ । একটি দশমবর্ষীয়া বালিকা YR শান্তিনিকেতন তুমি বোধ হয় এই প্রথম হিমালয়ে যাচ্চ। আমিও প্ৰায় তোমার বয়সে আমার পিতৃদেবের সঙ্গে হিমালয়ে গিয়েছিলুম। তা’র আগে ভূগোলে পড়েছিলুম। পৃথিবীতে হিমালয়ের চেয়ে উচু জিনিষ আর কিছু নেই, তাই হিমালয় সম্বন্ধে মনে মনে কত কি যে কল্পনা ক’রেছিলুম। তা’র ঠিক নেই। বাড়ী থেকে বেরবার সময় মনটা একেবারে তোলপাড় ক’রেছিল। অমৃতসর হয়ে ডাকের গাড়ি চ’ড়ে প্ৰথমে পাঠানকোটে গিয়ে পড়লুম। সেখানে পাহাড়ের বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ। তুমি কাঠগোদাম দিয়ে উপরে উঠোঁচ-পাঠানকোট সেই রকম কাঠগোদামের মত। সেখানকার ছোট ছোট পাহাড়গুলো, “কর, খাল।” * জল পড়ে, পাতা নড়ে”-এর বেশি আর নয়। তা’র পরে ক্ৰমে ক্রমে যখন উপরে উঠতে লাগালুম, তখন কেবল এই কথাই মনে হ’তে লাগল, হিমালয় যত বড়ই হোক না, আমার কল্পনা তা’র চেয়ে তা’কে অনেক দুৱ ছাড়িয়ে গিয়েছে; মানুষের প্রত্যাশার কাছে হিমালয় পাহাড়ই বা লাগে কোথায় ? আসল কথা, পাহাড়টা থাকে-থাকে ਚੋ ਚੋਚ , ਚਿ ਜ ਚਲ , পীতরাজের রাজমহিমা ক্ৰমে ক্ৰমে মনের মধ্যে সয়ে সমস্তটা ত দেখতে পাইনে-পৰ্ব্বত ক্ৰমে ক্রমে দেখি, সমুদ্র ক্রমে ক্রমে দেখি-এমন কি, যে-মানুষ আমার চেয়ে বয়সে অনেক বেশি তা’র সেই বড় বয়সের সুদীর্ঘ বিস্তারটা এক সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় না। এই জন্যে তফাৎ জিনিষটা কল্পনায় যত বড়, প্ৰত্যক্ষে তত বড় নয়। অর্থাৎ বড় হ’লেও বড় দেখা যায় না। আমাদের যে-ঠাকুরকে আমরা প্ৰণাম ক’রি, তিনি যত বড় তা’র সমস্তটা যদি সম্পূর্ণ আমাদের সামনে আসত, তা’ হ’লে সে আমরা সইতেই পারতুম না। কিন্তু হিমালয় পাহড়ের মত আমরা তা’র বুকের উপর দিয়ে ক্ৰমে ক্রমে উঠি। যতই উঠি না কেন, তিনি আমাদের একেবারে ছাড়িয়ে যান না-বরাবর আমাদের সঙ্গী হ’য়ে তিনি আমাদের আপনি উঠিয়ে নিতে থাকেন; বুদ্ধিতে বুঝতে পারি তিনি আমাদের ছাড়িয়ে আছেন, কিন্তু ব্যবহারে বরাবর র্তা’র সঙ্গে আমাদের সহজ আনাগোনা চলতে থাকে। তাইত তা’কে বন্ধু ব’লতে আমাদের কিছু ঠেকে নাতিনিও তা’র উপরের থেকে হেসে আমাদের বন্ধু বলেন। এত উপরে চ’ড়ে যান না যে, "র্তা’র সঙ্গে কথা কওয়া দায় হ’য়ে ওঠে। তুমি যত জোরের সঙ্গে আমাকে সাতাশ বছরের ক’রে নিয়েছ, আমরা তা’র চেয়ে ঢের বেশি জোরে তঁা’কে সাতও ক’রতে পারি। সাতাশও ক’রতে পারি-আবার সাতাশ কোটি ক’রলেও চলে ; তিনি যে আসে। বে-জিনিষটা খুব বড় আমরা একেবারে তা’র আমাদের জন্য সবই হতে পারেন, তা? নইলে তাকে DRA
