পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৩৪ ] সাহিত্যাধৰ্ম্মের সীমানা শ্ৰীনরেশচন্দ্ৰ সেন-গুপ্ত কাজেই কবির এই সিদ্ধান্ত আলোচনা করা অত্যন্ত দুরূহ। বৰ্ত্তমান বাঙ্গলা-সাহিত্যে এমন কতকগুলি বই BDDBDBD D S DS S DBLL DBDBBBL DK DS S তাহা একটা শারীর-ব্যাপার লইয়া ঘাটাঘাঁটি করিয়া মানুষের একটা নিকৃষ্ট বৃত্তির সেবা করিয়াছে মাত্র, তাহা লইয়া কোনও রস উদ্বোধন করে নাই। কেবল সেই গ্রন্থগুলি সম্বন্ধেই কবির এই উক্তি প্ৰযুজ্য এ-কথা যদি নিঃসংশয়ে ধরিয়া লওয়া যাইত। তবে তাহার এসিদ্ধান্তের সম্বন্ধে কোনও আপত্তিই উঠতে পারিত না । কিন্তু সাহিত্যের এই অকিঞ্চিৎকর আবর্জনা দূর করিবার জন্য কবিবর তার অপরিমেয় শক্তি নিযুক্ত করিয়াছেন এ-কথা মনে করা কঠিন,-কেননা এই সব বইয়ের সংখ্যা হয়তো খুব বেশী নয় এবং সেগুলি সাহিত্যের বাজারে রদী-মাল বলিয়া সুপরিচিত । তাছাড়া কবির লিখনভঙ্গী ও তাঁর যুক্তিতর্কের স্বরূপ হইতে মনে হয় যে তার লক্ষিত বস্তু ইহার চেয়ে অধিক ব্যাপক। রবীন্দ্রনাথ যৌন-মিলন ব্যাপারটার দুইটি স্বতন্ত্র দিকের উল্লেখ করিয়াছেন-প্ৰথম প্ৰজনাৰ্থ মিলন, দ্বিতীয় প্ৰেম। এক দিক ইহার দৈহিক ব্যাপার, অপর ভাগ মানসিক বা আধ্যাত্মিক-এইরূপে তার বক্তব্যের অনুবাদ করিলে বোধ হয়। ভুল করা হইবে না । দৈহিক সম্বন্ধের দিকটার বিষয়ে তঁর মত এই যে, “রসবোধ নিয়ে যে সাহিত্য ও কলা, সেখানে এর (বিজ্ঞানের ) সিদ্ধান্ত স্থান পায় না।” এই কথাটা পরবর্তী কথার সঙ্গে সমন্বয় করিলে তার সিদ্ধান্তটা এই বলিয়া মনে হয় যে, যৌন-মিলনের এই দিকটা লইয়া যে-সাহিত্য আলোচনা করে সেইটাই “বিদেশের আমদানী বে-আক্রতা’ এবং তার উপরই তিনি কশাঘাত করিয়াছেন। পূর্বে বলিয়াছি রবীন্দ্রনাথের লেখার ভিতর খুব একটা সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত কোনও খানেই সাদা কথায় লেখা হয় নাই-সাদা কথাটা কাব্যরস ও বাক্যালঙ্কারের নিপুণ রমণীয় অরণ্যের LBD DD gEBLL LDDBDYSLDBDBDD GBBBBB DDD দিয়া তাহা নির্ধারণ করা হইয়াছে। কাজেই ঠিক তার কি অভিপ্ৰায় তাহা তার কোনও বিশিষ্ট উক্তির দ্বারা নিশ্চয়রূপে নিরূপণ অসম্ভব। কিন্তু আমি যতদূর বুবিয়া তাহাতে কবিবর তার ভাষা ও অলঙ্কারের ইলি এই তথ্যই লক্ষিত করিয়াছেন বলিয়া মনে হয়। এই তথ্য কবিবর কোনও সুনিবন্ধ যুক্তিমালার ত্ব थडिठिंड ऋब्रन नांझे, ६रुवण शूख्रिव्र ट्रेक्डि काब्रिज्ञे কতকগুলি রূপক দ্বারা। সেই রূপকমালা যে যুৰি স্থান লাইতে পারে না। তাহা দুই একটি দৃষ্টান্ত দ্বারা দেখাই তিনি সত্য ও সার্থকের মধ্যে যে ভেদ অভ্ৰান্তভা নির্দেশ করিয়াছেন তাজা প্ৰতিষ্ঠিত করিবার জন্য বলি ছেন,-“যে জিনিষের মধ্যে আমরা সম্পূর্ণকে দেখি ;ে জিনিষই সার্থক। এক টুকরো কাকর আমার কা কিছুই নয়, একটি পদ্ম আমার কাছে সুনিশ্চিত ( ই কি ‘সার্থকে’র সঙ্গে একাৰ্থবোধক ? ) অথচ কাকর পা পদে ঠেলে ঠেলে নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেয়, চো প’ড়লে তাকে ভোলবার জন্যে বৈদ্য ডাকতে হয়, ভাবে পড়লে দাঁতগুলো আঁৎকে ওঠে ; তবু তা’র সত্যের পূর্ণ আমার কাছে নেই। পদ্ম কনুই দিয়ে বা কটাক্ষ দি.ে ঠেলা ঠেলির উপদ্ৰব একটুও করে না, তবু আমার সম মন তাকে আপনি এগিয়ে গিয়ে স্বীকার করে।” পদ্ম ও কাকারের এ দৃষ্টান্ত যুক্তি ও নয়, নৈয়ারিকে দৃষ্টান্তও নয়। সে মাপে ওজন করিতে গেলে ইহা ভিতর এতগুলি ফাঁক ধরা যায় যে নৈয়ায়িক এ-দৃষ্টা বা যুক্তিকে কোন ও মতেই স্বীকার করিতে পারে না। DB LL LBB BBB DDS g LBB DBDD S DEBuDuD S DD প্ৰথমে প্ৰস্তাব করিয়াছেন ঠিক সেইটাই এই রাসচিত্ৰ দিয়া প্ৰকট করিয়াছেন। সত্য ইহার মপ্যে। লজিকের সুত্ৰে নাই আছে কবির অনুভূতিতে। প্ৰথমতঃ, পদ্মের সার্থকতা ও কঁাকরের অসার্থকতা যfি স্বীকার করিয়া লওয়া যায়, তবু একের মধ্যে আমর সম্পূর্ণকে দেখি অপরের মধ্যে তাকে দেখি না ইহাই ;ে তাদের মধ্যে প্রকৃত সার্থক প্রভেদ, তার কোনও হেতু আমরা পাই না। এ-কথা খুব যুক্তির সঙ্গে বলা যাইতে পারে যে, ইহাদের প্রকৃত প্ৰভেদ এই যে, পদ্ম আমাদের আনন্দ দেয়-আমাদের রূপবোধকে পরিতৃপ্ত করিয়া, আর