পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৬৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y sios ] Gleda GT VRS হুমায়ুন কবির অনুভূতিকে আঘাত করাই উপন্যাসের একমাত্র লক্ষ্য ছিল। কিন্তু আধুনিক যুগের অন্যান্য ঔপন্যাসিকের মতন বোয়ার এ বাধা অস্বীকার করিয়াছেন। প্ৰেম জীবনের একটী প্ৰধান উপাদান হইলেও তাহা যে জীবনের একমাত্র উপাদান, আধুনিক যুগের ঔপন্যাসিক তাহা স্বীকার করেন নাই। আমাদের আবেগের রূপ বিচিত্র, বিচিত্র আধারকে আশ্ৰয় করিয়া মানুষ স্বৰ্গ রচনা করিয়া থাকে, প্রেমের লীলা প্ৰকাশ ব্যতীত মানুষের জীবনের আরো অনেক দিক রহিয়াছে। জ্ঞানের পিপাসা, বিপদের মোহ মানুষের হৃদয়কে আকর্ষণ করে, তাই মানুষ কেবলমাত্র প্ৰেমিক নহে, সে পথিকও বটে, সে দুঃসাহসী । মানুষের প্রেমও কেবলমাত্র নির নারীর যৌনপ্রেমে পৰ্য্যবসিত নহে। DDBBD DuuDBB SYY GDB DBBDDBBB BDDBSDD YY বন্ধুর যে গ্ৰীতি, তাহাও প্রেমের অঙ্গীভূত। দুইটী নরনারীর মিলন হইলে সেখানে তাহদের জীবন শেষ হইয়া গেল না-বস্তুতঃ সেখানেই তাহদের জীবন-যাত্রার আরম্ভ । পরস্পরের সহযোগিতায় ও সাহচর্য্যে তাহারা কেমন করিয়া পারিপার্থিক জগতের সঙ্গে আপনার সামঞ্জস্য সম্পাদন করিল, পরস্পরের চিন্তা ও আদর্শের সংস্পর্শে জীবনের গতির কি পরিবর্তন হইল,-তাহা লক্ষ্য করাও আজি ঔপন্যাসিকের কাজ। কবে কোন চিন্তার ধারা আসিয়া অন্তর স্পর্শ করিল, সমগ্র জীবনের গতি কেমন করিয়া বদলাইয়া গেল, তাহার কাহিনী আমাদের বুদ্ধি ও আবেগকে যেমন করিয়া আকর্ষণ করিতে পারে, এমন আর কিছুই নহে। আধুনিক যুগে উপন্যাস তাই কেবলমাত্র ভাবজীবনের কাহিনী নহে, তাহা চিন্তা-জীবনেরও ইতিহাস । বোয়ারের রচনার দুয়েকটী বিশেষ ভঙ্গির আলোচনা করিয়া আমরা তাহার উপন্যাসগুলির বিশ্লেষণ করিতে চেষ্টা করিব। তাহার বিশেষ কৃতিত্ব এইখানে যে, যে মাপকাঠি দিয়াই আমরা তঁহার রচনার বিচার করিতে" চাহি না কেন, তাহাতেই তাহার সাহিত্য শ্রেষ্ঠতম সাহিত্যের আসনে স্থান পাইবে। ললিতকলার শ্রেষ্ঠতম বিকাশের লক্ষণ এই যে, যেখানে বেদিক দিয়াই আমরা তাহার পরীক্ষা করি না কেন, কষ্টিপাথরে সোনার রেখাই ফুটিয়া উঠে। তাহার কারণ এই যে সাহিত্য বিচারের সকল লক্ষণই derivative। শ্রেষ্ঠ সাহিত্য বলিয়া বিনা বিচারে মানুষের মন যুগযুগান্ত ধরিয়া যাহাকে গ্ৰহণ করিয়াছে, তাহাই পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া যে সকল লক্ষণ অমরতার কারণ বলিয়া আমাদের মনে হয়, তাহাকেই আমরা সাহিত্যের মাপকাঠি বলিয়া গ্ৰহণ করি। মানবমনের ধৰ্ম্মই এই যে আমাদের আবেগ ও অনুভূতি প্ৰথমে যাহাকে আনন্দে বরণ করিয়া লয় তাহাকেই বিচার করিয়া বুদ্ধিবৃত্তি দিয়া আমরা গ্ৰহণ করিতে প্ৰয়াস পাই, ভাল লাগিলে পরে তখন খুজিতে বসি কেন ভাল লাগিল। जांश्gिडाझ दि5icब्र७ ५6 कथीं। नडा । কেবলমাত্ৰ প্ৰকাশভঙ্গির দিক দিয়া দেখিতে গেলে বিশ্ব-সাহিত্যে বোয়ারের স্থান অতি উচ্চে। মানুষের আবেগ ও, আকাজক্ষা, আশা ও আশঙ্কার এমন উদ্বেল প্ৰকাশে তাহার সাহিত্য প্ৰাণবান যে আমাদের অন্তরের আশা-নিরাশা, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার তন্ত্রী তাহাতে সাড়া দিয়া ওঠে। Tolstoy বলিয়াছেন, ললিতকলার লক্ষণ এই যে রূপকার। আপনার অন্তরে যে আবেগ উপলব্ধি করিয়াছেন, প্ৰকাশ-ভঙ্গির কৌশলে অপরের অন্তরেও · उांश टिनि नक्षांब्रिड कब्रिटड १ांटनन। oछे जर्थशब করিবার ক্ষমতা নির্ভর করে রূপকারের নিজের আবেগের তীব্রতার উপর। বোয়ার পৃষ্ঠাহার রচনায় যে আবেগকেই প্ৰকাশিত করিয়াছেন, তাহাকেই এমন গভীর ভাবে তিনি উপলব্ধি করিয়াছেন যে তঁাহার সকল জীবন তাহাতে ওতপ্ৰোত হইয়া গিয়াছে। এইখানে তাহার কবি হৃদয়ের পরিচয় । কল্পনার তীব্রতা ও সহানুভূতির প্রাচুৰ্য্যে অপরের বেদন তাহার আপনার হৃদয়ে মূৰ্ত্ত হইয়া উঠিয়াছে, তাই তেঁাহার মানস-সৃষ্টিতে তিনি সেই বেদনা ও আনন্দকে যে রূপ দিয়াছেন, তাহাতে আমাদের অন্তরও সাড়া দেয়। কিন্তু প্ৰকাশ ভঙ্গির কথা ছাড়িয়া দিলেও কেবলমাত্র বাস্তবের দিক দিয়া তাহার রচনা অনুপম। জীবনের সকল ব্যর্থতা, সকল বেদনার ইতিহাস কবি বোয়ারের হৃদয়ের কাছে ধরা পড়িয়াছে, কিন্তু তাহাদিগকে প্ৰকাশ করিয়াছেন ঔপন্যাসিক বোয়ার। চরিত্র সৃষ্টি ঔপভাসিকের কঠিনতম