পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৬৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wy6łR ইতিহাস-যাত্রা চলেচে আবির্ভাবের অস্পষ্টতা থেকে তিরোভাবের অদূপ্তের মধ্যে। একদল বিপুলকায় বিকটাকার প্ৰাণী যেন সৃষ্টিকর্তার দুঃস্বপ্নের মতো দলে দলে এল, আবার মিলিয়ে গেলো। তারপরে মানুষের ইতিহাস কৰে জুরু হোলো প্ৰদোষের ক্ষীণ আলোতে, গুহা গহবর অরণ্যের ছায়ায় ছায়ায়। দুই পায়ের উপর খাড়াদাঁড়ানো ছোট ছোট চটুল জীব, লাক দিয়ে চড়ে চড়ে বসিল মহাকায় বিপদ বিভীষিকার পিঠের উপর, বিষ্ণু যেমন চড়েছেন। গরুড়ের পিঠে। অসাধ্যের সাধনায় চলল তারা জাৰ্ণ যুগান্তরের ভগ্নাংশবিকীর্ণ দুৰ্গম পথে। তারি সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীকে ঘিরে ঘিরে বিরুণের মৃদঙ্গ বাজতে जांगण विप्न ब्रांटब, डब्रान उनम्न। जांच डाई उनधि, আয় এমন কোনো একটা কথা ছন্দে আবৃত্তি করতে ইচ্ছা কাবুচে বা অনাদিকালের। আজকের দিনের মতোই এই রকম আলো-বািলমলানো কলকলকলোলিত নীলাজলের দিকে তাকিয়ে ইংরেজ কবি শেলি একটি কবিতা লিখেছেন ঃ The sun is warm, the sky is clear, The waves are dancing fast and bright. কিন্তু এ তার ক্লান্ত জীবনের অবসাদের বিলাপ। এর সঙ্গে আজ ভিতরে বাইরে মিল পাচ্চিনে। একটা জগৎজোড়া কালক্ৰন্দন শুনতে পাচ্চি বটে, সেই ক্ৰন্দন ভরিয়ে ভুলচে অন্তরিক্ষকে, যে অন্তরিক্ষের উপর বিশ্বরচনার ভূমিকা,-যে অন্তরিক্ষকে বৈদিক ভারত নাম দিয়েচে खनौ। ५ किल वाडिडांब्रांट्रन नंब्रांडवत्र कमान नब्र। এ নবজাত শিশুর ক্ৰন্দন-যে শিশু উৰ্দ্ধস্বরে বিশ্ব-স্বারে আপন অস্তিত্ব ঘোষণা ক’রে তার প্রথম ক্রন্দিত নিশ্বাসেই জানায়, “অয়াময়ং ভোঃ * অসীম ভাৰীকালের আরো সে অতিথি। অস্তিত্বের ঘোষণায় একটা বিপুল কাল্প আছে। BDBD DB DD DBBD DD DB D DBDBD S t করতে হয় বাধা । অস্তিত্বের অধিকার পড়ে-পাওয়া জিনিষ নয়, প্ৰতি মুহুর্তেই সেটা লড়াই কোরে নেওয়া জিনিষ। তাই তার কাল্প। এত তীৰ, আর জীবলোকে সকলের চেয়ে তীব্ৰ , মানবসত্তার নব-জীবনের কাল্প। সে <> [কান্তিক যেন অন্ধকারের গর্ত বিদারণ করা নৰজাত আলোকের ক্ৰন্দনस्तनि । ख्ॉब्रि गता गानि नव नव चाप्य नव नव शूनं দেবলোকে বাজে মঙ্গলশঙ্খ, উচ্চারিত হয় বিশ্বপিতামহের অভিনন্দন মন্ত্ৰ । ": a আজকের দিনে এই আমার শেষ উপলব্ধি নয়। সকালে দেখলুম, সমুদ্রের প্রান্তরেখায় আকাশ তার জ্যোতিপৰ্যায়ী চিরন্তনী বাণীটি লিখে দিলে; সেটি পরম শান্তির বাণী, তা মর্ত্যলোকের বহু যুগের বহু দুঃখের আর্ত কোলাহলের আবৰ্ত্তকে ছাড়িয়ে ওঠে, যেন অশ্রীর ঢেউয়ের উপরে শ্বেতপক্সের মতো। তারপরে দিনশেষের দিকে দেখলুম একটি অখ্যাত ব্যক্তিকে, যার মধ্যে মনুষ্যত্ব অপমানিত-যদি সময় পাই তার কথা পরে বলব। তখন মানব-ইতিহাসের দিগন্তে দিগন্তে দেখতে পেলুম বিরোধের কালো মেঘ, অশান্তির প্রচ্ছন্ন বীজগর্জন, আর লোকালয়ের উপর রুদ্রের ভ্ৰকুটচ্ছায়া। ইতি ২ শ্রাবণ, ১৩৩৪ ৷৷ VO বুনো হাতি মূৰ্ত্তিমান উৎপাত, বজবৃংহিত ঝড়ের মেঘের মতো। এতটুকু মানুষ, হাতির একটা পায়ের সঙ্গেও যার তুলনা হয় না, সে ওকে দেখে খামখা বলে উঠল আমি এর পিঠে চড়ে বেড়াব। এই প্ৰকাণ্ড দুর্দাম প্ৰাণপিওটাকে গাগাঁ ক’রে শুড় তুলে আসতে দেখেও এমন অসম্ভবপ্রায় কথা কোন একজন ক্ষীণকায় মানুষ কোন এককালে ভাবতেও পেরেছে এইটেই আশ্চৰ্য্য। তারপরে “পিঠে চডুবা” বলা থেকে আরম্ভ ক’রে পিঠে চড়ে বসা পৰ্যন্ত যে ইতিহাস সেটাও অতি অদ্ভুত। অনেকদিন পৰ্যন্তই সেই অসম্ভবের চেহারা সম্ভবের কাহ দিয়েও আসেনি-পরম্পরাক্রমে কত বিফলতা কত অপঘাত মানুষের সঙ্কল্পকে বিক্রপ করেছে তার সংখ্যা নেই, সেটা গণনা ক’রে কয়ে মানুষ বলতে পাৰ্ব্বত এটা হবায় নয়। কিন্তু তা বলেনি। অবশেষে একদিন সে হাতির মত জন্তুরও পিঠে চড়ে ফসল ক্ষেতের ধারে, লোকালয়ের রাস্তায়া-ঘাটে ঘুরে বেড়ালো। এটা সাংঘাতিক অধ্যবসায়, সেই জয়েই গণেশের হাতির মুণ্ডে মানুষের সিদ্বিতীয় মুখি।