পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৭৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2998

  • লাড়গোপালের কীৰ্ত্তি

ʼ ua শ্ৰীশ্ৰীৰানময় রায় আবার হাসিতে হাগিল। হাসির বেগ কতকটা সংযত করিয়া সব কথা খোলসা করিয়া বলতে মণি খিল খিল করিয়া হাসিয়া উঠিল, বলিল “ম্যাগে, কি ষোল্লা ! ছিঃ”। V) দু’তিন দিন পরে মাখন যখন কিছুতেই চিঠি দু’খানা তাহাদের ঠিকানায় পৌছাইয়া দিবার কোনও উপায় করিতে না , পারিয়া প্ৰায় হতাশ হইয়া পড়িয়াছে তখন একদিন কলেজ হইতে ফিরিবার পথে একটি অপরিচিত ছোট ছেলে তাহার হাতে একটুকরা কাগজ দিয়া গেল। vV v-VV >a份 f * এই কয়দিন ধরিয়া মেয়েটিকে অত্যাচার হইতে উদ্ধার করিবার সম্ভব ও অসম্ভব নানা প্ৰকার উপায় কল্পনা করিতে করিতে সে উহার মধ্যে এতই ডুবিয়া গিয়াছিল যে অপরিচিত বালিকার নিকট হইতে অকস্মাৎ এইরূপ নিশাভিসার নিমন্ত্ৰণা-পত্ৰ প্ৰাপ্তি যে একটা অসম্ভব ব্যাপার হইতেও পারে এ সম্বন্ধে তাহার মনে একবার প্রশ্ন উঠিল না। বরং নিজের চরিত্র ও সাধুতা সম্বন্ধে নিজের প্রতি তাহার অসম্ভব বিশ্বাস থাকাতে মেয়েটির পক্ষে এই পত্র তাহাকে লেখা স্বাভাবিকই বলিয়া মনে হইল। আর কাহার কাছেই বা যাইবে ? সংসারে সহসা কাহাকেই বা বিশ্বাস করা যায় ? চলিতে চলিতে চিঠিখানা সে তিনচার বার পড়িল এবং পড়িতে পড়িতে সে উচ্ছসিত হইয়া উঠিল। উঃ! কি না জানি বিপদে পড়িয়াছে। ভাবিতে ভাবিতে মেয়েটির দুঃখ কল্পনা করিয়া তাহার চক্ষে জল আসিল, এস্ক, পকেটে পুরিবার পূর্বে অত্যন্ত সমাদরে ও সসকোচে সে মি” এই অক্ষরটি সই করিয়া তাহার উপর একটি চুম্বন করিল। এমন সময় তাহার পিঠে একটা চাপড় মারিয়া শচীন একটা বিশ্ৰী হাসি হাসিয়া BBDB SL GDB DBD Lqu DB BBL DD DD D মিস ডিম্বুজায় তসবির নাকি?” মিল ডিম্বুজ মেডিকেল কলেজে একটী পাশী নীল। তাহান্ন অদ্ভুত সৌন্দর্ঘ্যের খ্যাতি তখন ছেলে মহলে বিশেষ চায়ূল্যের সৃষ্টি করিয়াছিল। একজন হাউস সার্জনের সঙ্গে একটি Student এয়, তাহাকে লইয়া নাকি মারামারি পর্য্যন্ত হইয়া গিয়াছে। কলিকাতার Student মহল তাহার সহিত যেন একযোগে প্রেমে পড়িয়াছে। ইহারই মধ্যে তাহাকে লইয়া এত अंकांब्र अड्रड romantic धनायगोत्र हड:श्चा शिवाह ८ष সাবিত্রী এবং পিয়ারী বাইজী প্ৰভৃতিকেও তাহা মহাজভবতা, সতীত্বের তেজ-প্ৰভৃতি বাইজী সুলভ গুণে লজ দিতে পারে। মাখন হঠাৎ চমকিয়া উঠিয়া কাগজখানা চট করিয়া পকেটে পুরিল। মনে মনে শচীনের কথাগুলি আলোচনা করিয়া দেখিল যে শচীন জিনিষটা ঠিক দেখিতে পায় নাই, সুতরাং একদিকে সে যেমন নিশ্চিন্ত হইল। অন্যদিকে তেমনি তাহার সম্বন্ধে এইরূপ কুৎসিত কথা ভাবার দরুণ একটা দারুণ নৈতিক-ঘূণায় সে অলিয়া উঠিল; এবং তেজের সঙ্গে বলিল “আমার সঙ্গে তুমি কথা ব’লবে না। সংসারে সকলকেই নিজের মত জানোয়ার মনে কোরো না”। শচীন আবার বলিল “হাঃ হাঃ ! সকলকেই নিজের মত ভাবলে, সংসারে তোমার মতোটয় । BDB DD YSBDB BDBD S DDD D DSD BBB S BS সংসারের বৈচিত্র্যে আমি অবিশ্বাস করি নে।” কলিয়া অযথা নিজেই আবার হাঃ হাঃ করিয়া হাসিতে লাগিল। মাখন এই মুখ-ভ্যাঙ্গানোর মতো হাসিতে উত্তরোত্তর এত চটিতেছিল যে আর তাহার কোন কথা বলা সম্ভব হইল না। শচীন অত্যন্ত ‘গায়ে মাখামাখি ভাবে তাহার কাৰে হাত দিতেই সে এক কািটকায় সরিয়া “ছয়ে না। আমাকে ব’লহি” বলিয়া একেবারে উল্টে মুখে হন হন করিয়া চলিয়া গেল। সেই দিন রাত ১২টায় সময় সকলে ঘুমাইলে একখানি চিঠি হাতে করিয়া সে অন্ধকারে ধীরে ধীরে ছাদের উপর গেল। আলিসার কাছে আগাগোড়া কম্বল মুড়ি দিয়া একজন বসিয়া ছিল। নিকটে যাইতেই সে ঠোঁটে আঙ্গুলি দিয়া তাহাকে নিঃশব্দে থাকিতে ইন্দিত করিল এবং তাহার হাতে একখানি পত্ৰ দিয়া তাহাকে চলিয়া যাইতে ইসারা করিল। মাখন। দেখিল নে তাহার চিঠিখানি দিবার এমন সুযোগটা বুখি