পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৮৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক’রে বিশ্ৰাম করতে স্থান তাহলেই আমি সব চেয়ে খুসি হব। তার পর দিনে রাজবাড়ির কয়েকজন ব্ৰাহ্মণপণ্ডিত তালপাতার পুথি-পত্র নিয়ে উপস্থিত। একটি পুথি মহাভারতের ভীষ্ম পর্ব। এইখানকার অক্ষরেই লেখা । উপরের পংক্তি সংস্কৃত ভাষায়, নীচের পংক্তিতে দেশী ভাষায় তারি অর্থ ব্যাখ্যা। কাগজের একটি , পুথিতে সংস্কৃত শ্লোক লেখা। সেই শ্লোক রাজা প’ড়ে যেতে লাগলেন ; উচ্চারণের বিকৃতি থেকে বহুকষ্টে তাদের উদ্ধার করবার চেষ্টা করা গেল। সমস্তটা যোগতত্বের উপদেশ। চিত্তবুদ্ধি, ত্রি-অক্ষরাত্মক ওঁ, চন্দ্ৰবিন্দু এবং অন্য সমস্ত শব্দ ও ভাবনা বর্জন ক’রে শুদ্ধ চৈতন্যযোগে, মুখ্যমান্বয়োৎ এই হ’চ্চে সাধনা। আমি রাজাকে আশ্বাস দিলেক যে, আমরা এখানে যে-সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত পাঠিয়ে দেব, তিনি এখানকার গ্রন্থগুলি থেকে বিকৃত ও বিশ্বত পাঠ উদ্ধার ক’রে তার অর্থব্যাখ্যা ক’রে দিতে পারবেন। এদিকে আমার শরীর অত্যন্ত ক্লান্ত হ’তে চলল। প্ৰতি মুহুর্তে বুঝতে পারলুম। আমার শক্তিতে কুলোবে না। সৌভাগ্যক্রমে সুনীতি আমাদের সঙ্গে আছেন, তার অশ্রান্ত উত্তম, অদম্য উৎসাহী। তিনি ধুতি প’রে কোমরে পট্টবস্ত্ৰ জড়িয়ে ‘পেদণ্ড’, অর্থাৎ এখানকার ব্ৰাহ্মণদের সঙ্গে ব’সে গেলেন। তার সঙ্গে আমাদের দেশের পুজোপকরণ ছিলপূজাপদ্ধতি তাদের দেখিয়ে দিলেন। আলাপ আলোচনায় সকলকেই তিনি আগ্ৰহান্বিত করে তুলেচেন। वथन नथा दृशण आभांब्र भौब्र बांब्र जईटड लांब्रत ना তখন আমি রাজপুরী থেকে পালিয়ে এই আঙ্গুল তীর্থশ্ৰমেৰু নির্বাসন গ্ৰহণ করলুম। এখানে লোকের ভিড় নেই, অভ্যর্থনা পরিচর্য্যার উপদ্রব নেই। চারদিকে সুন্দর DDBSYBuHuHDDB BDBDS BDDBDDBDBDBD DBDBBBD চঞ্চল উৎস-জাল-সঞ্চায়ের অবিরত কলপ্ৰবাহ, শৈলীতটে নিৰ্ম্মল নীলাকাশে নারিকেল শাখার নিত্য আন্দোলন ; আমি বসে আছি বারান্দায়, কখনো লিখচি, কখনো সামনে চেয়ে দেখচি। এমন সময়ে হঠাৎ এসে থামল এক মোটর গাড়ি। গিয়ানিয়ারের রাজা ও এই প্রদেশের একজন ওলন্দাজ রাজপুরুষ নেমে এলেন। এর বাড়িতে 16> [ অগ্রহায়ণ আমার নিমন্ত্রণ । অন্তত এক রাজি যাপন করতে হবে। अनक्श आशनिई भहांडांब्रटडब्र कथा फैण। बशভারতের যে কয়টা পর্ব এখনো এখানে পাওয়া যায়। তাই তিনি অনেক ভেবে ভেবে আউড়িয়ে গেলেন। বাকি পৰ্ব কি তাই তিনি জানতে চান। এখানে কেবল আছে, আদি পর্ব, বিরাট পর্ব, উদ্যোগ পর্ব, তীয় পর্ব, আশ্রমবাস পৰ্ব্ব, মূষল পৰ্ব্ব, প্ৰস্থানিক পৰ্ব্ব, স্বৰ্গারোহণ পর্ব। মহাভারতের কাহিনীগুলির উপরে এদেশের লোকের চিত্ত বাসা বেঁধে আছে। তাদের আমোদে আহিলাদে কাব্যে গানে অভিনয়ে জীবনযাত্রায় মহাভারতের সমস্ত চরিত্রগুলি বিচিত্ৰভাবে বৰ্ত্তমান। অর্জন এদের আদর্শ পুরুষ। এখানে মহাভারতের গল্পগুলি কিরকম বদলে গেচে তার একটা দৃষ্টান্ত দিই। সংস্কৃত মহাভারতের শিখণ্ডী এখানে শ্ৰীকান্তি নাম ধরেচে। শ্ৰীকান্তি অর্জনের স্ত্রী। তিনি যুদ্ধের রথে অর্জনের সামনে থেকে ভীষ্মবন্ধের সহায়তা করেছিলেন। এই ঐকান্তি এখানে সতী-স্ত্রীর আদর্শ। গিয়ানিয়ারের রাজা আমাকে অনুরোধ ক’রে গেলেন আজ রাত্রে মহাভারতের হারানো পর্ব প্রভৃতি পৌরাণিক বিষয় নিয়ে তিনি আমার সঙ্গে আলোচনা করতে চান । আমি তাকে সুনীতির কথা বলেচি-সুনীতি তাকে শান্ত্র বিষয়ে যথাক্তান সংবাদ দিতে পারবেন। ভারতের ভূগোলস্থতি সম্বন্ধে একটা কথা আমার মনে আন্দোলিত হচ্চে। নদীর নাম-মালার মধ্যে সিন্ধু ও শতদ্রু প্ৰভৃতির নাম নেই, ব্ৰহ্মপুত্রের নামও বাদ পড়েচে । অথচ দক্ষিণের প্রধান নদীগুলির নাম দেখাচি । এর থেকে বোঝা যায়। সেই যুগে পাঞ্জাব প্রদেশ শক, চুন, ববন ও পারসিকদের দ্বারা বারবার বিধবন্ত ও অধিকৃত হয়ে ভারতবর্ষ থেকে বেন। বিদ্যায় সভ্যতায় জ্বলিত হ’য়ে পড়েছিল, অপর পক্ষে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদের দ্বারা অভিষিক্ত ভারতের পূর্বতম। দেশ তখনো যথার্থৰূপে হিন্দু ভারতের অঙ্গীভূত হয় নি। এইত গেল এখানকার বিবরণ। আমার নিজের অবস্থাটা যেরকম দেখচি তাতে এখানে আমার ভ্ৰমণ সংক্ষেপ vRcs vCR ofs-e» wisiè»aRq কারেম আসেন। বালি