পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৮৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন তোমার চিঠিতে যে-রকম ঠাণ্ডা এবং মেঘলা দিনের বর্ণনা করেচ তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তুমি তোমার ভানুদাদার এলাকার অনেক তফাতে চ’লে গেছ । বেশি। মা হোক, অন্তত দু-তিন ডিগ্রির মতোও ঠাণ্ডা। যদি ডাকযোগে এখানে পাঠাতে পার তাহলে তোমাদেরও আরাম, আমাদেরও আরাম। বেয়ারিং পোষ্টে পাঠালেও আপত্তি করব না ; এমন কি, ভ্যালুপোবলেও রাজি আছে। আসল কথা, কদিন থেকে এখানে রীতিমত খোটাই ফেশানের গরম পড়েচে । সমস্ত আকাশটা যেন তুষ্ণাৰ্ত্ত কুকুরের মত জিব বের ক’রে হাঃ হাঃ ক’রে হাঁপাচে। আর এই যে দুপুরবেলাকার হাওয়া, এ-যে কি-রকম সে তোমাকে বেশি বোঝাতে হবে না-এই বললেই বুঝবে যে, a sef CRatisffêr efesur, vertega 3 metrick's Verfä3 সুতো দিয়ে আগাগোড়া ঠাস বুননি ; দিক-লক্ষ্মীরা পরেচেন, তারা দেবতার মেয়ে ব’লেই সইতে পারেন, কিন্তু ওয়া অচলা যখন মাঝে মাঝে উড়ে আমাদের গায়ে এসে পড়ে তখন নিজেকে মর্ত্যের ছেলে ব’লেই খুৰ বুঝতে পারি। আমি কিন্তু আমার ঐ আকাশের ভানুদাদার দূতগুলিকে ভয় করিনে ; এই দুপুরে দেখৰে ঘরে ঘরে হুয়ার বন্ধ, কিন্তু আমার ঘরের সব দরজা জানিলা খোলা । তপ্ত হাওয়া হাঁহ ক’রে ঘরে ঢুকে আমাকে আগাগোড়া মাণ ক’রে যাচ্চে--এমনি তারমাণ যে, মাশোন অর্জভোজনং। ‘গরনের বঁাজে আকাশ বাপলা হয়ে আছে -কেমন বেন। মত। সকলেই থেকে থেকে বলে বলে উঠছে, “উঃ, আঃ, কি গরম।” আমি তাতে আপত্তি ক’রে বলাচি, গরম তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু তার সঙ্গে আবার ওই তোমার উঃ আঃ জুড়ে দিচ্চ কেন ? যাই হোক, আকাশের এই প্ৰতাপ আমি এক রকম ক’রে সইতে পারি। কিন্তু মর্ত্যের প্রতাপ আর সহ হয় না। তোমরা তা পাজাবে আছ, পাজাবের দুঃখের খবর বোধ হয় পাও । এই দুঃখের তাপ আমায় বুকের পাঁজর পুড়িয়ে দিলে। ভারতবর্ষে অনেক পাপ জন্মেছিল তাই অনেক মার খেতে হচ্চে। মানুষের অপমান ভারতবর্ষে অভ্ৰভেদী হ’য়ে উঠেচে। তাই কিতশত বৎসর ধ’রে মানুষের কাছ থেকে ভারতবর্ষ এত অপমান সইচে, কিন্তু আজও শিক্ষা শেষ হয় নি। ইতি, ৮ই জ্যৈষ্ঠ, > MORA vOB কলিকাতা মাঝে তোমার একটা চিঠির জবাব দিতে পারিনি, কলকাতায় এসেচি। কেন এসেচি হয়ত পাবরের কাগজ থেকে ইতিমধ্যে কতকটা জানতে পারবে। তৰু একটু খোলাসা করে বলি। তোমার লেফাফায় তুমি যখন আমার ঠিকানা লেখা আমি ভাবলুম ঐ পদবীটা তোমার পছন্দ নয়। তাই কলকাতায় এসে বড়লাটকে চিঠি লিখেচি আমার ঐ হার পদবীটা ফিরিয়ে নিতে। কিন্তু চিঠিতে আসল কারণটা দিইনি-তোমার নামের একটুও উল্লেখ করিনি। বানিয়ে বানিয়ে অন্য নানা কথা লিখোঁচি, আমি বলেটি । ফুকের মধ্যে অনেক ঝােম জমে উঠেছিল, তারই তাঁর আমার YÒ.