পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৮৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

See8 বিপিন দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করে বলে, “গিরিধারী, যা’ করেন। ভগবানই করেন ; আমরা নিমিত্তমাত্র। এখন ফটোখানা পাওয়া যায় কি ক’রে ?” বিপিনের বদলি হওয়ার একমাসের মধ্যেই এই সব ঘটনা। সেই সময়ের মধ্যে কলিকাতায় আর একটা ঘটনা প্ৰকাশ হ’য়ে পড়ল। ঘটনাগুলো মন্দিরের ঘণ্টার মতো ; ঢং ঢেং ক’রে বাজে আর চলে যায়। হয়ত একটা আওয়াজই আবাহমানকাল ধবনিত হচ্ছে, কিন্তু আমাদের সীমাবদ্ধ কানের মধ্যে বোধ হয়, যেন একটার পর আর একটা । বোধ হয়, যেন কত দিনরাত্রি, আলো-অাঁধার, জন্মমৃত্যু, সুখদুঃখ হা-হুতাশ একটার পিছনে আর একটা তীর্থযাত্রীর মতো চ’লে গিয়েছে। এই যে অগ্ৰপশ্চাতের ভাব, সেটা সিনেমার মতো। লাফালাফি না করে, স্থির হয়ে চিন্তা করলে বোধ হয়, কাল অগ্রসরও হয় না পশ্চাৎগামীও হয় না। তখন আমরা হ্রস্ব নিশ্বাসপ্ৰশ্বাস দীর্ঘ ক’রে নিয়ে দুঃখপ্ৰকাশ कब्रि । সরলার পিতা তারাপদ বাবুর নবজীবন এবং বিবাহার্থে শ্ৰী-ধৰ্ম্ম অবলম্বন তারাপদ বাৰু দেখতে পেলেন যে সরলাকে তার স্বামীর কৰ্ম্মস্থানে থাকতেই হবে, তাহলে গৃহ অন্ধকার হয়ে পড়বে। অন্ধকারের মধ্যে বাস করা তার পক্ষে অসম্ভব, কারণ তার বয়স মোটে পয়তালিশ। তিনি বে-“হোঁসের” মুছদি সেখানে একজন সুন্দরী টাইপিষ্ট ছিল, তার নাম “মোরী', বয়ঃক্রম পয়ত্রিশ। তারাপদ বাবু তাকে মধ্যে মধ্যে জীবনের দুঃখ জানাতেন। মেরী খুব সুশীলা ও শান্তপ্রকৃতি। সে তাই শুনে কেঁদে ফেলত। একজন স্ত্রীলোক যদি কোন পুরুষের জন্য কঁাদে, তবে সেটা অমঙ্গলের চিহ্ন। সুতরাং সেই কান্না খামাবার জন্য তারাপদ বাৰু তাকে ভালবেসে ফেলেন। সেই ভালবাসা এতদূর তাকে আচ্ছন্ন করেছিল বে। তার গীতার কথা মনে হ’ল-“সৰ্ব্বধৰ্ম্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্ৰজ”। কিন্তু অন্ততঃ শ্ৰীষ্টানধৰ্ম্মে দীক্ষিত না হ’লে ডেপুটির দুরবস্থা শ্ৰীজুরেন্দ্রনাথ মজুমদার -val 瞿 মেরীকে সহধৰ্ম্মিণা করতে পারবেন না, তাই দেখে তিনি খৃষ্টান হয়ে গেলেন, ও মেরীকে বিবাহ করেন। তারাপদ বাবুর নাম হ’ল ‘শুমুদিল । বৈবাহিক ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় পূর্বে যেমন আশীৰ্বাদ বর্ষণ করেছিলেন, এখন তেমনিই অভিশাপ বর্ষণ সুরু করেন। তারাপদ দুঃখিত হ’য়ে বলেন, ‘দাদা। পরলোকের ব্যবস্থা ইললোকেই ক’রে ফেলেছি। অদৃষ্টের নির্বন্ধ, কোন চারা নেই।” সরল কিন্তু তার নূতন মা’কে দেখে খুসি হয়েছিল। বেন। गऔब्र भटला ! क्लि थिङ्शूश् ८श्प्छ cषटङ लाब्र बूरू ফেটে গেল। নূতন মা বলে, “মা সরলা, ধনসম্পত্তি গৃহ সবই তোমার নামে শুমুয়েল লিখে দেবেন স্থির করেছেন।” সরলার পিতৃ-গৃহ ত্যাগ সরলা বল্পে ‘ম ! সে-জন্ত কঁাদছি না, আমার চেতনায় সঙ্গে এই ঘর, বাপমা, শৈশবের লীলাখেলা। এতদূর জড়িয়ে গেছে যে, সেই পুরানো কঁথার নিবিড় সুতোগাথাগুলোকে খুলতে পাচ্ছি না। আমি টাকা কড়ির কাঙ্গালিনী না, কেবল মিনতি যে বাবাকে যত্নে রেখ, তারা যেন কষ্ট না হয়।” তারাপদ বাবু তাই শুনে হাউ হাউ ক’রে কেঁদে ফেলেন। , সরলা পিতার চাঁখের জল অঞ্চল দিয়ে মুছে, তার চরণে প্ৰণত হ’ল। মেরী সরলাকে বুকে নিয়ে নিজেই কঁদতে বসল। সরলা কেবল তার বিবাহের কাপড় ক’খানি ও গহনা নিয়ে শ্বশুরালয় গেল। মাও নাই, থাগুটীও পরলোকগত । ভট্টাচাৰ্য মহাশয় একখানা চাদর কাধে ক’রে সরলাকে নিয়ে মানভূমে চলে গেলেন। সেখানে তাকে পৌঁছে দূিত্র পুত্র ও পুত্রবধূকে আশীৰ্ব্বাদ ক’রে বাটীতে প্ৰত্যাগত স্মৃত্ত্বি অনুবন্ধুর শেষ অবস্থা প্ৰকাশ সরলার আগমনেপিন একটু এন্ত হ’য়ে পড়ল। চুরি সম্বন্ধে পুলিশ চূড়ান্ত চলছিল, কিন্তু বিপিন বলে যে মুকুন্দ বাবুর উপর তার সন্দেহ মোটেই হয় না। তিনি নিশ্চয়