পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আধুনিক গ্রীস ‘গ্ৰীস” কথাটা উচ্চারণ করিবার সঙ্গে সঙ্গে মানব-সভ্যতার ইতিহাসের এক গৌরব-সমৃদ্ধ দিনের কথা মনে পড়ে। গ্রীস বলতে আমরা বুঝি হোমার, প্লেটো, আরিষ্টটল ; গ্রীস বলতে আমরা বুঝি ফিডিয়াস, সফোক্লিস, সাফো । কিন্তু আধুনিক কালের গ্রীসের বিষয়ে আমরা কিছুই খোজ রাখি না। এখন সেখানে আর দেবতারা বাস করেন না, আমাদের মত মীর-জীবকুলই বাস করে থাকে, তা হলেও বৰ্ত্তমান গ্ৰীস পৃথিবীর মধ্যে অতি সুন্দর দেশ। বিখ্যাত পৰ্য্যটক মেনার্ড উইলিয়ামসের গ্রীস সম্বন্ধে লিখিত বিবরণ থেকে উদ্ধৃত করা গেল :- আমার পিতার কাছে প্ৰাচীন গ্রীসের মত দেশ ছিল না জগতে, গ্রীসের অতীত-গৌরবের কাহিনী তার ভোজ-টেবিলের খোসাগল্প ছিল, ওলিম্পাস পৰ্ব্বতের দেবতার। ছিলেন তঁর সুপরিচিত বন্ধু। কিন্তু যখন তিনি ২৫ বছর পাৰ্থেনন ২৪৬ বৎসর পরে পুনঃ সংস্কৃত আগে গ্রীস দেখতে গিয়েছিলেন, তখন জেউস, আফ্রোদিতে, হারমিস এপোলো বন্য বৈদেশিকে পরিণত হয়েছেনএই হিসাবে যে, তঁহাদের বাসস্থান ওলিম্পাস পৰ্ব্বত তখন গ্ৰীসের সীমার বাইরে। প্ৰাচীন গ্রীসের লোকসংখ্যা অপেক্ষা বৰ্ত্তমান হেলেনিক রিপাবলিকের লোকসংখ্যা অনেক বেশী, প্ৰায় দ্বিগুণ। কিন্তু বৰ্ত্তমান গ্ৰীস আর প্রাচীন কালের দিকে মুখ ফিরিয়ে নেই। আমার পিতার গ্ৰীস-ভ্রমণের পরে এথেন্সের আকাশ পৰ্যন্ত বদলে গিয়েচে । যে নিৰ্ম্মল নীল আকাশের তলায় জহুরীরা গ্ৰেপাইলিয়া ও পাৰ্থেননের মূল্যবান পাথর বসিয়েছিল-সে আকাশ এখন কলকারখানার ধোঁয়ায় মলিন ।