পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*द्भg] SO কিন্তু কাজটা বড় সহজ ছিল না। এক একখানা প্ৰস্তর খণ্ড নতুন করে বসাতে হ’ল, যার ওজন কুড়ি টন। তা ছাড়া মাটীর কাজও অনেক করতে হ’ল। এসব মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার পূর্ব পৰ্যন্ত পনন-কারীর দল তাঁবুতে বাস করত, আর সে তাবু পাতা হ’ল দারায়ুসের প্রাসাদের ছাদে-কারণ ছাদ তখন চারিপাশের জমির সঙ্গে সমতলে थक्षश्ऊि । খনন আরম্ভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানাবিধ ছোট বড় জিনিস পাওয়া যেতে লাগল-পুতির দানা, ছোট ছোট প্রস্তরমূৰ্ত্তি, মৃৎপাত্র, খেলনা ইত্যাদি। প্রাসাদের বিভিন্ন অংশের পরম্পরের সঙ্গে সম্বন্ধ নির্ণয় ক’রে তারপর ডা: হার্জফিল্ড একটা নক্সা তৈরী করলেন। নীচের সমতলভূমি মেপে প্রাসাদের সিংহদ্বারা পৰ্যন্ত একসারি পাথরের সোপানবলী । সোপানাবলী গিয়ে শেষ হয়েছে ঐ বিখ্যাত সিংহদ্বারের সম্মুখে, যার দুপাশে পূৰ্নোক্ত পক্ষযুক্ত বৃষদ্বয়ের বিরাট মূৰ্ত্তি অবস্থিত। এই সিংহদ্বারা নিৰ্ম্মাণ করেন সম্রাট খয়হর্ষ। প্ৰাসাদ একটী নয়, অনেকগুলি-দরায়ুসের প্রাসাদ, দারায়ুসের হারেম, খয়হর্ষের প্রাসাদ ও খায় হর্ষের হারেম। পৰ্ববৰ্ত্তী জনৈক সমাট আৰ্ত্তখয়হর্ষের প্রাসাদ। এই প্রাসাদশ্রেণীর মাঝখানে আর একটা সিংহদ্বারা আছে, যার দুদিকে দুটা সুবৃহৎ সভাগৃহ। প্ৰত্যেক সভাগৃহে একশো প্রস্তরস্তম্ভ-স্তম্ভের অরণ্য বলা যেতে পারে । এই সব স্তম্ভের মাথায় কড়িকাঠগুলি ছিল সব কাঠের । পার্সিপোলিস নগরী যেদিন দগ্ধ হয়, সেইদিন এই দুই সভাগৃহে কি ভীষণ ভাবেই না। অগ্নি পরিব্যাপ্ত হয়ে পড়েছিল! সভাগৃহ দুইটীর মেঝেতে ছাই জমে ছিল ২৬ ফুট উচু। প্রাসাদের অন্তঃপুরের দিক থেকে এই সভাগৃহে আসবার কোনও সোপানশ্রেণী প্ৰথমে দৃষ্টিগোচর হয় নি। কিন্তু হাৰ্জফিল্ড ঠিকই অনুমান করেছিলেন যে, এই সব ভগ্নস্তােপ অপসারিত হ’লে সোপানশ্রেণী পাওয়া যাবেই। পার্সিপোলিস ; রাজার নিকট প্রজা উপহার সামগ্ৰী বহন করিয়া র্তার নির্দেশমত সেই ২৬ ফুট উঁচু ভস্মাস্তুপ সরানো BBDYSS SBLB B S0S DDDSBgSDD DDD DDDS KS হ’ল এবং ফলে দুই সারি প্রস্তরময় cनl१ान अहात्र नििखि ' কারুকাৰ্য্যসহ আড়াই হাজার বছর পরে আবার দিনের আলোয় মুখ দেখালে। ওরিয়েণ্টাল ইনষ্টিটিউটের কৰ্ম্মচারিগণ বিবেচনা করেন, এই দুই সারি সোপানশ্রেণী তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার। এতকাল পৰ্য্যন্ত জগতের বিভিন্ন মিউজিয়মে প্ৰাচীন পারস্য শিল্প ও ভাস্কৰ্য্যের যে সব নিদর্শন সংগৃহীত হয়েছিল ঐ দুই সোপানশ্রেণীর আবিষ্কারের ফলে তাদের সংখ্যা হঠাৎ দ্বিগুণ বেড়ে গেল, মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে । সোপানশ্রেণীর বাইরের দিকে কোন প্ৰাচ্য দরবারের চিত্ৰ খোদাই করা। পারস্ত-সমাটের শরীর রক্ষী ও প্রাসাদরক্ষী সৈন্যদল একসারি তাদের দিকে এগিয়ে আসছে পারস্য ও মিডিয়া দেশীয় রাজকৰ্ম্মচারিগণ ও পারস্য সাম্রাজ্যের অধীন আটাশটি বিজিত জাতির রাজদূত। দূতগণের হাতে মূল্যবান উপঢৌকন-সোনা, ইবোনি ও হাতীর দাঁতের তৈরী শিল্পদ্রব্য, দামী পক্ষীপুচ্ছ, মধু, নানা প্রকার ফল, গবাদি পশু, সিংহ ও সিংহের বাচ্চা, উৎকৃষ্ট পরিচ্ছদপূর্ণ পেটকা ।