পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্ত্তমান মাথুরিয়া মাথুরিয়ার বর্তমান সভ্যতার সঙ্গে প্রাচীন সংস্কৃতি ও সভ্যতার দ্বন্দ্ব এখনও পূর্ণমাত্রায় চলিতেছে- তবে অন্যান্য দেশে বৰ্ত্তমান সভ্যতা যেরূপ দ্রুতগতিতে অগ্রসর হইতেছে, মাথুরিয়ায় ঠিক তাহা নহে, উদাহরণ স্বরূপ কোরিয়ার কথা বলা যাইতে পারে। জাপানের প্রভাবে কোরিয়া অতি দ্রুত বৰ্ত্তমান সভ্যতাকে আয়ত্ত্ব করিতেছে। মাথুরিয়ায় অত দ্রুত না হইলেও চীনের অপেক্ষা বেশী। চীন দু” হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতাকে এখনও আঁকুড়াইয়া ধরিয়া আছে-অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সেখানে কোন পরিবাৰ্ত্তন হইবার উপায় নাই। মাথুরিয়া সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান খুবই সংকীর্ণ। কারণ, এখনও বহির্জগতের সঙ্গে মাথুরিয়ার আদানপ্ৰদান সুরু হয় নাই। এখানে প্রাচীন চৈনিক KDDS D0 DBBD KkBS DDDS KD বৰ্ত্তমান-একটা আর একটাকে গ্ৰাস করিবার চেষ্টায় আছে- এবং বোধ হয়। শেষেরটাই জয়ী হইবে। তবে সে বিজয়ের দিন এখনও অনেক দূরে। গত পচিশ বৎসর ধরিয়া দক্ষিণ মাধুরিয়া রেলপথের উভয় পার্শ্বে জাপান, ও চাইনিজ ইষ্টাৰ্ণ রেলপথের দুই পাশে রাশিয়া নিজেদের প্রভাধ বিস্তার করিতেছে-ইহার ফলে বৰ্ত্তমানে হাজার হাজার বর্গমাইল পরিমিত স্থানে মোটরের কারখানা, ট্রাম, বিজলী বাতির কারখানা, কলের লাঙলের সাহায্যে উন্নততর প্রণালীর কৃষিকাৰ্য্য ইত্যাদি আধুনিক সভ্যতার কাৰ্য সুরু হইয়াছে। মাথুরিয়া লইয়া ১৯২৯ সালে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বিবাদ হইয়াছিল এবং ১৯৩১ সালে চীন ও জাপানের মধ্যে সেই বিবাদ আরও অধিকতর মাত্রায় প্ৰকটিত হইয়াছিল। যে দেশ লইয়া এতি বিবাদ, সেই দেশটি প্রকৃত পক্ষেই পূর্ব-দক্ষিণ এ শিয়ার মধ্যে প্ৰাকৃতিক বিভবে, সৌন্দৰ্য্যে, Ys মাথুরিয়া : মুকদেনের পূর্বাঞ্চলে ফুসুনাস্থিত পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ কয়লার পানি। অনাবিষ্কৃত খনিজ সম্পদে, বাণিজ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। তাহা ছাড়া মাথুরিয়া পুব বড় দেশ, আয়তনে ইহা ফ্রান্স ও স্পেন জড়াইয়া যত বড় হয়, তত বড়। মাথুরিয়ায় অতি আধুনিক প্ৰণালীতে নিৰ্ম্মিত নগর ও কারখানায় পাশাপাশি চামড়ার তাঁবুতে যাযাবার জাতি বাস করিতেছে। উট ও ছাগল এখনও তাদের একমাত্ৰ পার্থিব সম্পদ। আবার দশ মাইলের মধ্যে আধুনিক ধরণের সহরে উন্নত ধরণের আসবাবপত্রে সজ্জিত বালিকা-বিদ্যালয়ে বব করিয়া চুল ছাটা বালিকাগণ টেষ্টটিউল হাতে বিদ্যালয়ের