পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

šSo विछिद्ध-छ१९ “প্ৰস্তরস্তম্ভগুলি মাটীতে গভীর করে পোতা।. এমন ভাবে তৈরী যে তারা খুব ভারী পাথরের খিলান কি ছাদের ভার ধারণ করতে সক্ষম। একটা থাম থেকে আর একটার দূরত্ব ১৬ ফুট থেকে ২০ ফুট। দুটাে থামের মধ্যে সোপানশ্রেণী গাথা ছিল বেদীতে উঠবার নামবার জন্যে। • ALSLS SLSLSALSSSSSSSLL SS সুৰ্য্যমন্দিরের উত্তর-পশ্চিম কোণে সুবৃহৎ তোরণদ্বার ছিল-ইণ্ডিয়ানদের ভাষায় এর নাম সুৰ্য্যতোরণ-এর খানিকটা অংশ এখনও অটুট আছে-এই তোরণ বিরাট, যে সব পাথর দিয়ে এর খিলান গাণা হয়েছে, তা এত প্ৰকাণ্ড যে, সেগুলি স্থানান্তরিত করা স্থানীয় লোকদের সাধ্যাতীত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দশ বৎসর আগে বজ্ৰপাতে দক্ষিণের খিলান ফেটে গিয়েছে- এটাকে মেরামত করে বজায় রাখবার চেষ্টা চলছে গবর্ণমেণ্টের তরফ থেকে। ১৬ ইঞ্চি পুরু একখণ্ড বিশাল আগ্নেয় প্রস্তর কেটে এর চৌকাঠ তৈরী ; দরজার চৌকাঠ থেকে খিলানের উচ্চতা ২৫ ফুট ।

হেরাডুরা বেলাভূমি ; বৰ্ত্তমান পেরু সরকারের গ্রীষ্মবাস। --

পাথরের চৌকাঠে সাপ, অদ্ভুতমূৰ্ত্তি দেবদেবী, গাছপালা খোদাই করা। দরজার দুপাশে ২॥০ ফুট উঁচু ও ৪ ইঞ্চি গভীর কুলুঙ্গি। সম্ভবতঃ এগুলিতে দেবমুত্তি বসানো থাকত। খিলানের উপরে সুৰ্য্যদেবের মুক্তি খোদা, মুক্তির মাথার চারিপাশে জ্যোতিচ্ছটিা, একপাশে জাওয়ারের মুক্তি, একধারে চন্দ্ৰদেব। টিয়া-হুয়া-নাকো নগরের অনেক স্থানেই পাথরে খোদা জাওয়ারের মূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়েছে-সম্ভবতঃ এটি প্রাচীন দিনের কোনো দেবতার মূৰ্ত্তি। ... ... স্বৰ্য্যদেবের হাতে রাজদণ্ড। তাঁর দুপাশে আটচল্লিশটি বিভিন্ন দেবমূৰ্ত্তি, চব্বিশটা করে মূৰ্ত্তি এক এক পাশে। এই চব্বিশটা মূৰ্ত্তি তিন পাকে খোদা, আটটা করে এক এক থাকে। এদের মুখ সুৰ্য্যদেবের দিকে ফেরানো, শুধু ফেরানো নয়, এরা যেন দৌড়ে ছুটে চলেছে সূৰ্য্যদেবের দিকে। প্রাচীন শিল্লিরা অপূৰ্ব্ব কৃতিত্বের সঙ্গে এদের এই গতির ছন্দ পাথরে ফুটিয়ে তুলেছে। এদের প্রত্যেকের হাতে এক একটা রাজদণ্ড। পাখা আছে, সকলেরই মুখ কাণ্ডৱ পাখীর মত, (আণ্ডিজ পর্বতমালার সৰ্বোচ্চ অংশে এই সুবৃহৎ ঈগল জাতীয় পাখী বাসা বাধে) এবং সকলের মুখে ক্রোধের ভাব। সূৰ্য্যমন্দিরের পূর্বে ও পশ্চিমে আরও অনেক ধ্বংসস্তুপ বৰ্ত্তমান ।