পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাওয়াই হইতে স্যানুফ্রান্সিকো C अकiae ध्ieथ O মিস এমেলিয়া ইয়ারহার্ট একজন তরুণী মার্কিণ মহিলা । সম্প্রতি তিনি প্ৰশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপ থেকে এরোপ্লেনে একা কালিফোনিয়ার স্তানফ্রান্সিসকো বন্দর। পৰ্যন্ত উড়ে গেছেন। তঁর আকাশ-ভ্রমণের বৃত্তান্ত নিয়ে উদ্ধৃত হল :- ২২শে ডিসেম্বর আমি লস এঞ্জেলস থেকে জাহাজে হনোলুলু আসি। আমার এরোপ্লেনখানা অামার সঙ্গে এসেছিল জাহাজের টেনিস-ডেকে প্যাক করা অবস্থায় ৷ হনোলুলু এসে আবহাওয়ার অবস্থা খারাপ দেখে মনটা কিছু দমে গেল। দিন কয়েক অপেক্ষা করা যুক্তিযুক্ত মনে হল। আমার এরোপ্লেনের মোটর খুব ভাল অবস্থায় ছিল। সমুদ্রে যে কয়দিন এসেছিলাম, পাছে নোনা জলের হাওয়ায় মোটর খারাপ হয়ে যায়, এই ভয়ে রোজ চালিয়ে দেখে পরীক্ষা করতাম। এরোপ্লেনের রেডিও সেটুটাও পরীক্ষা করে দেখে নিতাম ঐ সঙ্গে। স্তানফ্রান্সিসকো বন্দর থেকে যখন আমরা হাজার মাইল এসেছি, তখন এরোপ্লেনের BBBDismD DDD BDD BDBDBDB BDDS SBDLDY अश्iिg cifनi cन ! আবহাওয়ার জন্যে যে ক'দিন হনোলুলুতে ছিলাম, এরোপ্লেনের কলকব্জা প্ৰত্যহ পরীক্ষা করা হ’ত । অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি যে, কখনও এ বিষয়ে ঔদাসীন্য দেখাতে নেই। এরোপ্লেন যখন উড়ছে না, তখনই কলকব্জা পরীক্ষার সুবিধা, সুতরাং সে অবস্থায় দুবেলা যদি তা করা যায়, খুবই ভাল। মার্কিণ যুক্তরাজ্যের সামরিক উড়োজাহাজ-বিভাগের কৰ্ম্মচারিগণ এ বিষয়ে আমাকে যথেষ্ট সাহায্য কয়েছেন, এজন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ । এমেলিয়া ইয়ারহার্ট : হনোলুলু হইতে ওকল্যাণ্ড পৰ্য্যন্ত ২৪ • • মাইল ১১ই জানুয়ারী আবহাওয়া-বিভাগের রিপোট যা ব্যাপী ১৮ ঘণ্টা বিমান-যাত্রার পর। পাওয়া গেল, তাতে সেইদিনই রওনা হওয়া উচিত মনে হ’ল । ঐদিন বিকাল ২টার সময় ওড়বার ঠিক করেছিলাম, কিন্তু সকাল থেকেই সুরু হল গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। দুপুরের পর রীতিমত ঝমােঝম করে বৃষ্টি নামল। বাতাস ঘুরে গিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে বইতে সুরু করল। মাটী ভিজে নরম হয়ে গিয়েছে, বৃষ্টিতে, আমার এরোপ্লেনে বোঝাই অনেক, পাঁচশ’ গ্যালন গ্যাসোলিন তি আছেই, তা ছাড়া আরও অনেক জিনিস তাতে চাপান। সুবিধের মধ্যে যেখান থেকে এরোপ্লেন উড়বে, সেই জমিটা ছয় হাজার ফুট লম্বা। তিন হাজার ফুট লম্বা পথ পেলেই এরোপ্লেন বেশ জমি থেকে উঠতে পারে, সুতরাং আমি ঠিক করলাম, আবহাওয়ার অবস্থা যাই হ’ক, আমাকে উড়তেই হবে।