পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্যারিস হইতে স্থলপথে কাশ্মীর .ዓe বেজায় ধূলো-গাধার পিঠে তরিতরকারি বোঝাই দিয়ে কৃষকেরা জেডের বাজারে বিক্রী করতে চলেছে। ব্লাভীন পোষাকে সুন্দরী সারকেশীয় তরুণীরা গাধার পিঠে চড়ে বেড়াতে বেরিয়েছে, কেউ কেউ কৌতুহলের দৃষ্টিতে চেয়ে আছে আমাদের অদ্ভুতদৰ্শন মোটরগাড়ীর সারির দিকে । মাথার ওপর আবার একখানা এরোপ্লেন উড়ছে—সেখানে খুব নামতে সুরু করলে, মাথায় পড়ে আর কি !" এরোপ্লেন থেকে একগোছা কাগজ পড়ল। এরোপ্লেনে আছেন। আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধু পিয়ের পোয়াদেবার, তিনি অনেক দিন থেকে এই অঞ্চলে খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর রোমান প্ৰাচীরের ভগ্নাবশেষ সম্বন্ধে গবেষণা করেছেন। তঁর বাণী আমাদের মনের আনন্দ ও উৎসাহ আরও বাড়িয়ে তুললে। মরুময় পথ। গাছপালা কোথাও নেই। কি রোদই চড়েছে! অনাবৃত পাহাড় চারিধারে পূর্ণ। খ্যা করছে। সিরিয়ায় মরুভূমি সুরু হল। রাস্তাও ভাল নয়, বালিতে চাকা বসে যাচ্ছে। পামিরা। খৰ্জ্জুরকুঞ্জবেষ্টিত সুন্দর ছোট্ট সহর, শুভ্র দীর্ঘ গম্বুজ ও মিনারেট নীল আকাশে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে। আরব্য উপন্যাসের সাহরাই হত যদি না হোটেল জেমোবিয়ার সদর দরজায় বেদুইন শেখেরা দামী দামী মোটর গাড়ী করে না নামত, খেজুর তলায় বসে আমেরিকান সিগারেট ও আইসক্রিম না খেত, আর যদি তাদের চোখে এক একজোড়া রঙীন ভাৰী চশমা না থাকত। নাঃ, রোমান জিনিষটা পৃথিবীতে আর কোথাও রইল না । কেবল মেয়েদের পোষাক এখনও পুরোনোকালের মতই আছে বটে। আর পথে ছাগলের চামড়ার পোষাক পরা ভিস্তিদের দেখে মনে হল বাইবেলের যুগ এখনও এই সব প্ৰাচ্য সহরের অন্ধকার কোণে লুকিয়ে আছে। তবে খুজে না দেখলে মেলে না। ফরাসী গভর্ণমেণ্ট পামিরাতে নতুন সাহুর তৈরী করছেন। জলকষ্ট দূর করবার জন্যে অনেক বড় বড় কৃপ খনন । BDBDB BDBDSS SBu u DBDB KSDDDS SDDBSS BBDBDD কুপেয় জল বিকট তেতো। এখানে বহু প্ৰাচীন একটি মসজিদ আছে। সহরের উত্তরে একটা দুৰ্গ তৈরী হচ্ছে । দুদিন পরে আমরা রুৎবা পৌছুলাম। রুৎবাতে একটা বড় দুর্গ আছে, অনেক সৈন্য পাকে । কঁাটাতারের বেড়া দিয়ে অনেকদূর পর্য্যন্ত ঘেরা। ইরাকী প্রহরী সৈন্য রাইফেল ঘাড়ে করে দুর্গপ্রাচীরের ওপর পায়চারী করছে। বেতারের উচু মাস্তুলের তলাতেই দুর্গের কফিখানা। সামনেট এরোপ্লেন নামবার উঠবার মাঠ। যাত্রীদের জন্যে ছোট একটা হোটেল। তার পরে মরুভূমির মধ্যে দিয়ে বাগদাদের দিকে যাত্রা সুরু হল। এই মরুভূমি অত্যন্ত ভীষণ, জল কোথাও নেই, গাছপালার চিহ্ন ত নেই-ই। কোনোদিকে মাঝে মাঝে রুক্ষদর্শন পাহাড়। এই পথে তৃষ্ণায় ও রৌদ্রের উত্তাপে প্রতিবৎসর অনেক লোক মারা যায়। w মরুভূমির আবহাওয়া অতি অদ্ভুত। দিনের গরম কল্পনার অতীত, কিন্তু রাত্রে খুব শীত। শেষ রাত্রে মনে so গজনী : সুলতান মামুদ কর্তৃক একাদশ শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত বিজয়-স্তম্ভ।