পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qVe ਵਿ হওয়ার কথা নয়। গ্যারেজ ও মোটরের কারখানাও অনেক । এক সময়ে পারস্তে ত্ৰিশ হাজার সরাইখানা ছিল পথিকের সুবিধার জন্য। এখন সরাইখানার সংখ্যা কমে গিয়েছে, মোটর গাড়ীতেই লোকচলাচল করে বেশী-সরাইএর বদলে এখানে পথের ধারে পড়ছে মোটরের কারখানা ও পেট্রোলের দোকান। এদের ধ্যবসা খুব জোর চলছে। সরাইএর মালিকেরা, দেউলে হয়ে দাড়াচ্ছে- মোটর বাসের সংখ্যা নেই-এক এক লাইনে বাস দু তিন শো মাইল গিয়ে তবে গন্তব্য স্থানে পৌছায়। বাসের মধ্যে গোটা মানুষ বড় একটা দেখা যায় না-চোখে পড়ে কেবল কতকগুলো মানুষের মুণ্ড, হাত, পা, দাড়ি, বেঁচিকা, জলের কুঁজে-ঠাসাঠাসি বোঝাই। মোটরবাসের ব্যবসায়ে পারস্তে উন্নতি আছে। ওমর খৈয়ামের নিশাপুরের মধ্যে দিয়ে আমরা চলে গেলাম, থেমে দেখবার সময় ছিল না। তারপরে মেশেদ। শোজেওয়ার মাটির প্রাচীর ; মোটরের পথ-নিৰ্দেশক দেখা যাইতেছে। পারস্তে একদিন ৩০ হাজার উষ্টবাহিনীর আড়া ছিল। এখন মোটরের প্রচলনে উঠুবাহিনীর সংখ্যা কমিতেছে। এখানে পেট্রোলের জন্যে আমাদের দাড়াতে হোল। কৃষ্ণবসনা অবগুণ্ঠনবতী পারম্ভ মহিলারা দলে দলে চলেছে হজরৎ ইমাম রেজার মসজিদে। মসজিদ। অবশ্য আমরা দূর থেকেই দেখলাম, কারণ কোনো বিধৰ্ম্ম মসজিদের মধ্যে ঢুকতে পারে না । তারপর আমরা পারস্তের। বৰ্ত্তমান যুগের একজন প্ৰধান পণ্ডিত হাজি মালেকের সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। র্তার লাইব্রেরীতে ৪৬,০০০ দুপ্রাপ্য গ্ৰন্থ আছে। এমন অনেক পুথি আছে, যা আর কোথাও পাওয়া मेिं भी ! 豫 হাজি মালেক দুঃখ করে বলেন, “আপনাদের আমেরিকাতে ওমর খৈয়ামের খুব নাম কিন্তু হাফেজ কি ফাদৌসির নাম অনেকে জানেই না হয়তো । অথচ এদেরই ঠিক পারস্তের জাতীয় কবি বলা যেতে পারে।” কথায়