পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্যারিস হইতে স্থলপথে কাশ্মীর ایر ዓሕs দুপারে দু'হাজার লোক জড় হয়েছে আমাদের নদী পার হওয়া দেখবার জন্যে । অনেকে আবার ঘোড়ায় চড়ে दशत्रूद्ध që gGJICs | নদীপার হয়ে ওপারে একটা এপ্রিকট বাগানের ছায়ায় আমাদের জন্তে তাবু পাতা হয়েছে, চা পানের বন্দোবন্ত করে রাখা হয়েছে। একটি ছোট ছেলে বড় গুড়গুড়িতে তামাক সেজে আমাদের জন্যে নিয়ে এল। গুড়গুড়িতে তামাক খাওয়া এই আমাদের জীবনে প্রথম। প্রাদেশিক अननकूडी वंक्चन മി अांगoiम, लिनि बg ঘোড়ায় চেপে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এলেন, যথেষ্ট আপ্যান্বিত করলেন। আফগানিস্থান আমরা কেমন দেখছি ? পথে আমাদের অসুবিধা হয়নি তো ? দশ বারো জন কৃষ্ণকায় ভূত্য পেতলের থালা ভরে আমাদের জন্যে নানারকম মেওয়া ফল নিয়ে এল শাসনকৰ্ত্তার নিজের বাগান থেকে । “ ” “ ** ** * * ** * * . . কান্দাহারে মিউনিসিপ্যালিটির পক্ষ থেকে আমাদের অভ্যর্থনা করা হল। একটি সুন্দর এপ্ৰিকট-বাগানের ছায়ায় বড় সামিয়ান টাঙানো হয়েছে, তারই নীচে সভা । পুশতু ভাষায় অভিনন্দন পাঠ করা হল, আমরা তার কিছুই বুঝলাম না। বাগানটির সৌন্দৰ্য্য অপূৰ্ব্ব, আমাদের মনে হচ্ছিল আরব্য উপন্যাসের দেশ আজকালকার যুগে বাগদাদ থেকে অনেক পূবদিকে সরে এসেছে। আরব্য উপন্যাসের স্বপ্ন আমরা সার্থক হতে দেখেছি কান্দাহারের এই অপূৰ্ব্ব উদ্যানে। শ্যামল তৃণরাজি পায়ের নীচে, বহুদূরবিস্তৃত ছায়াতিরুবীথি, পুষ্পিত এপ্রিকটের সুবাস, মাঝে স্বচ্ছ জলাশয়, লরেল ঝোপ, বুলবুলের ডাক, জলের ধারে হরিণ চরে বেড়াচ্ছে-সবটাই যেন একটা স্বপ্ন। গজনীতে সুলতান মামুদের সমাধি আছে। বহুকালের পুরানো সমাধি-মন্দির, দীর্ঘ পপলার গাছের সারির ফঁাক দিয়ে চোখে পড়ে। সহরের প্ৰান্তে একটি নিভৃত স্থানে সমাধি-মন্দির অবস্থিত, চারিধারে গোলাপের বাগান । সামনের উঠানে একজোড়া মার্বেল পাথরের সিংহমূৰ্ত্তি, তার ওদিকে বিধক্ষ্মীদের যেতে দেওয়া হয় না, আমরা গোলাপ বাগানে খানিকক্ষণ বেড়িয়ে তাঁবুতে ফিরে এলাম। 'গজনীতে আসবার পথে একটা নদী পার হওয়ার সময় অত্যন্ত কষ্ট হয়েছিল। আমাদের বিশ্বাস ছিল আফগানিস্থান পাৰ্ব্বত্য দেশ। সুতরাং অনুর্বর ও রুক্ষ। গজনী থেকে কাবুলের পথে আসতে আমাদের মনে হল ইউফ্রেটিস নদীর তীর ছাড়া এমন তরুচ্ছায়াশ্যামল, ফলস্কুলে পরিপূর্ণ দেশ আমরা আর দেখিনি। কাবুল সহর থেকে মোটরে আমরা বামিয়ান গেলাম। এখানকার অতিকায় বুদ্ধমূৰ্ত্তি দেখবার জিনিস, তবে দুটি মূৰ্ত্তির কোনটির মুখই অক্ষত অবস্থায় নেই। গবৰ্ণমেণ্টের তরফ থেকে এখানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাজ চলছে। বামিয়ান উপত্যক সৌন্দর্ঘ্যে অতুলনীয়। সমুদ্রবক্ষ থেকে এর উচ্চতা নয়। হাজার ফুট, এর পেছনে বিখ্যাত বেশ-ই-বাবা পৰ্বত, প্ৰায় সতেরো হাজার ফুট উচু। অতিথিশালার বারান্দা থেকে পূবদিকে চেয়ে থাকলে যে দৃশ্য চোখে পড়ে, আমরা এই সুদীঘ ভ্ৰমণপর্থের মধ্যে কোথাও তা দেখিনি। বহু প্ৰাচীন কালের মরুষযাত্রীদের চলাচলের পথ বামিয়ান উপত্যক ভেদ করে চলে গিয়েছে, বহু পথিকের পদচিহ্ন আঁকা, আলেকজাণ্ডারের বির্জয়বাহিনী এই পথে এসেছিল, হিউয়েনসাং এই পথে ভারতে তীর্থযাত্রায় গিয়েছিলেন-বৰ্ত্তমানে বেলুচি কৃষকেরা পোটলাপুটলি নিয়ে নিজের দেশ ছেড়ে আফগানিস্থানে বসবাস করতে আসছে এই পথে। একটা ছোট মেয়ে গাধার পিঠে চড়ে মনের আনন্দে বাঁশি বাজাতে বাজাতে যাচ্ছে। 零 খাইবারের ইতিহাসংপ্ৰসিদ্ধ গিরিবীয় পার হয়ে জামরুদ দুর্গে আশ্ৰয় নিলাম। বৃটিশ গবৰ্ণমেণ্টের পক্ষ থেকে gBBD DBD DBDBD DBDDD DDBD S gg g gi uDDB S BDBBD DB DBB BD DBBB BBDB কায়দায় অভিবাদনের জন্য প্ৰস্তুত হয়ে। গর্ডন হাইল্যাণ্ডার দল ব্যাগ-পাইপ বাজাচ্ছে। আমরা ভারতবর্ষের মাটিতে *। cिश्वछि । তারপর তক্ষশিলা ও রাওয়ালপিণ্ডি ছাড়িয়ে বাইরুৎ থেকে রওনা হবার একাশি দিনের দিন আমরা শ্ৰীনগরে পৌছলাম।