আকাশে একটা ছুটির ঘোষণা হোতে থাকে—পথ দিয়ে পথিকেরা চলে, মনে হয় যেন ছবি রচনায় সাহায্য করবার জন্যেই, তাদের আর কোনো উদ্দেশ্য নেই। আমি প্রায় প্রত্যেক চিঠিতেই আমার এই চেয়ে দেখার বিবরণটা লিখি। পৃথিবী কিছুতেই আমার কাছে পুরানো হোলো না—ওর সঙ্গে আমার মোকাবিলা চল্ছে এইটেই আমার সব খবরের চেয়ে বড়ো খবর।
আমার এখানকার সব প্রধান দৈনিক খবর হচ্ছে ছবি আঁকা। রেখার মায়াজালে আমার সমস্ত মন জড়িয়ে পড়েছে। অকালে অপরিচিতার প্রতি পক্ষপাতে কবিতা একেবারে পাড়া ছেড়ে চলে গেছে। কোনোকালে যে কবিতা লিখ্তুম সে কথা ভুলে গেছি। এই ব্যাপারটা মনকে এত ক’রে যে আকর্ষণ করছে তার প্রধান কারণ এর অভাবনীয়তা। কবিতার বিষয়টা অস্পষ্টভাবেও গোড়াতেই মাথায় আসে, তার পরে শিবের জটা থেকে গোমুখী বেয়ে যেমন গঙ্গা নামে তেমনি ক’রে কাব্যের ঝরনা কলমের মুখে তট রচনা করে, ছন্দ প্রবাহিত হতে থাকে। আমি যে সব ছবি আঁকার চেষ্টা করি তাতে ঠিক তার উল্টো প্রণালীরেখার আমেজ প্রথমে দেখা দেয় কলমের মুখে তারপরে যতই আকার ধারণ করে ততই সেটা পৌঁছতে থাকে মাথায়। এইরূপ সৃষ্টির বিস্ময়ে মন মেতে ওঠে। আমি যদি পাকা আর্টিস্ট্ হতুম তাহোলে গোড়াতেই সঙ্কল্প ক’রে ছবি আঁকতুম, মনের জিনিষ বাইরে খাড়া হোত—তাতেও