পাতা:বিজয়া - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম দৃশ্য বিজয়া S86 পরেশের-মা । কিন্তু নেমন্তান্ন-বাড়ীর আশায় তোমার পরেশ যে পথ চেয়ে চেয়ে সারা হলো । বোধহয় হাজার বার নদীর ধারে গিয়ে দেখে এসেছে পালকি আসচে কি না । যা পরেশ আর একবার দেখা গে । ( পরেশ প্ৰস্থান করিলে পরেশের-মা পুনশ্চ কহিল) কিন্তু সত্যিই আশ্চয্যি হচ্চি তার বিবেচনা দেখে । কাল অতো বেলায় তো ডাক্তারবাবুকে নিয়ে বাড়ী গেলেন, আবার ঘণ্টা কয়েক পরেই দেখি বুড়ো লণ্ঠন নিয়ে নিজে এসে হাজির ৷ পরেশের-মা তোমার দিদিমণি কোথায় ? বললুম, ওপরে নিজের ঘরেই আছেন। কিন্তু এত রাত্তিরে কেন আচায্যি মশাই ? বললেন, পরেশের-মা, কাল দুপুরে আমাদের ওখানে তোমরা খাবে। তুমি, পরেশ, কালীপদ আর আমার মা বিজয়া । তাই নেমন্তয় করতে এসেছি। জিজ্ঞেস করলুম, নেমস্তন্ন কিসের আচাৰ্ষ্যি মশাই ? বললেন, উৎসব আছে । কিসের উৎসব দিদিমণি ? বিজয়া । জানিনে পরেশের-মা । আমাকে গিয়ে বললেন, কাল দ্বিপ্রহরে আমার ওখানে খেতে হবে মা । পালকি-বোহারা পাঠিয়ে দেবো। হেঁটে যেতে পারবে না । কিন্তু ততক্ষণ কিছু খেওনা যেন। জিজ্ঞেসা করলুম, কেন দয়ালবাবু ? বললেন, আমার ব্ৰত আছে। তুমি গিয়ে পা দিলে তবেই সে ব্ৰত সফল হবে। ভাবলুম মন্দির তো ? হয়তো কিছু-একটা করেছেন। কিন্তু এমন কাণ্ড হবে জানলে স্বীকার করতুম না। পরেশের-মা । রাসবিহারী প্ৰবেশ করিলেন রাস । এ কি কাণ্ড ৷ এখনো যাওনি-চারটে বাজিলো যে ! পরেশের-মা। পালকি পাঠাবার কথা, এখনো আসেনি। 瞿 রাস । এমনই তার কাজ। পালকি যদি সে না পেয়ে ছিল একটা খবর পাঠালে না কেন ? আমি জোগাড় করে দিতুম। মধ্যাহ,

  • ) O