পাতা:বিজয়া - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম দৃশ্য বিজয়া voy পরেশের-মা। পরেশকে বুঝি কোথাও পাঠালে দিদিমণি ? সে উদ্ধ মুখে ছুটেছে। ডাকলুম সাড়া দিলে না। বিজয়া । (হাসিয়া ) ও-পরেশ ছুটেছে বুঝি? তবে নিশ্চয় দিঘাড়ায় বাতাসা কিনতে দৌড়েছে। হঠাৎ আমার কাছে দুটাে পয়সা পেলে কিনা ! * পরেশের-মা । কিন্তু বাতাসা তো কাছেই মেলো-সেখানে কেন ? বিজয় । কি জানি সেখানে কে এক গোবিন্দ দোকানি আছে সে নাকি একটু বেশি দেয়। পরেশের-মা । বইগুলো যে গুছিয়ে তোলবার কথা ছিল তুলবে না ? বিজয়া । এখন থাকগে পরেশের-মা ! রশের-মা। একটা কথা তোমায় বলতে চাই দিদিমণি, ভয়ে বলতে rf CF | বিজয়া । কেন, তোমার ভয়টা কিসের ? কি কথা ? পরেশের-মা । কালীপদ বলছিলো সে তো আর টিকতে পারে না । ছোটবাবু তাকে দু’ চক্ষে দেখতে পারেন না। যখন তখন ধমকানি। ও ছিল কৰ্ত্তবাবুর খানসামা-অভ্যোস ছিল কলকাতায় থাকার। কাল নাকি ছোটবাবু তাকে হুকুম দিয়েছেন তার এখানে কাজ কম, উড়ে মালীর সঙ্গে বাগানে খাটতে হ’বে। নইলে জবাব দেওযা হ’বে । বয়েস হয়েছে পারবে কেন বাগানে গিয়ে কোদাল পাড়তে দিদি। বিজয় । , ( দৃঢ়কণ্ঠে ) না তাকে কোদাল পাড়তে হবে না! ছোটবাবুকে আমি বলে দেবো। পদেশের-মা। আমাদের যদু ঘোষ গোমস্ত মশাই বলছিল যে— * বিজয়া। এখন থাক পরেশের-মা । আমার একখানি দরকারী চিঠি লেখবার আছে পরে শুল্কবাে। qथन फूमि बांe । ' পরেশের-মা । আচ্ছা যাচ্ছি দিদিমণি ৷