পাতা:বিজয়া - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 বিজয়া 2र्थ स्ट्श् বিজয়া। তা জানিনে বিলাসবাবু। হয় তো দান করে বন্ধুর শেষ আত্মসম্মান-বোধচুকু বাবা নিঃশেষ করতে চান নি। বিলাস। দেখুন, এসব আপনার কবিত্বের কথা, নইলে ঋণ ছেড়ে দেবার উপদেশ তিনি আপনাকেও দিযে যেতে পারতেন। কিসের জন্য उा कब्रन नि ? বিজয়া । তা জানিনে। কোন আদেশ দিয়েই তিনি আমাকে আবদ্ধ করে যান নি। বরঞ্চ, কথা উঠলে বাবা এই কথা বলতেন, মা, তোমার ধৰ্ম্মবুদ্ধি দিয়েই তোমার কৰ্ত্তব্য নিরূপণ ক’রে । আমার ইচ্ছের শাসনে তোমাকে আমি বেঁধে রেখে যাব না। কিন্তু পিতৃঋণের দায়ে পুত্ৰকে গৃহহীন করার সঙ্কল্প বোধহয় তঁর ছিল না। তার ছেলের নাম শুনেছি। নরেন্দ্ৰ । তিনি কোথায় আছেন জানেন ? বিলাস । জানি । মাতাল-বাপের শ্ৰাদ্ধ শেষ করে সে নাকি বাড়ীতেই আছে। পিতৃঋণ যে শোধ করে না সে কুপুত্র। তাকে দয়া করা অপরাধ। বিজয়া । আপনার সঙ্গে বোধহয় তার আলাপ আছে ? বিলাস। আলাপ ! ছিঃ-আপনি আমায় কি মনে করেন বলুন তো ? আমি তো ভাবতেই পারিনে যে জগদীশ মুখুয্যের ছেলের সঙ্গে আমি আলাপ করছি । তবে সেদিন রাস্তায় হঠাৎ পাগলের মত একটা নতুন লোক দেখে আশ্চৰ্য্য হয়েছিলুম-শুনলাম সেইই নাকি নরেন মুখুয্যে। বিজয় । পাগলের মতো ? কিন্তু শুনেছি নাকি ডাক্তার ? বিলাস। ডাক্তার। আমি বিশ্বাস করিনে। যেমন আকৃতি তেমনি প্ৰকৃতি ; একটা অপদার্থ লোফার। يسمسيحصد" বিজয়া। আচ্ছা বিলাসবাবু, জগদীশবাবুর বাড়ীটা যদি সত্যিই আমরা দখল করে নিই, গ্রামের মধ্যে কি একটা বিশ্ৰী গোলমাল উঠবে না ? বিলাস। একেবারে না । আপনি পাঁচ-সাতখানা গ্রামের মধ্যে একজনও পাবেন না, এই মাতালটার ওপর যার বিন্দুমাত্র गशश्छूठि