ছেলের ভাল তুমিত কিছুই দেখতে পারনা। বলি আমার মাখনলাল করেছে কি?
গৌরহরি। ওটা পড়ে পড়ে বেতর বিগ্ড়ে গিয়েছে, বোধহয় শীঘ্র পাগল হ’বে।
চন্দ্রমুখী। ওমাঃ আমি কোথায় যাব! এই বুঝি আমার মাখনলালের দোষ। তা হ’ক, মা সরস্বতী যার পেটে ঢুকেছেন তাকে পাগল তিনিই করেন। আহা! তোমায় বল্বো কি, মাখন যখন ঘুমিয়ে থাকে, আমি আড়ি পেতে শুনেছি—ছেলের মুখ দিয়ে পল্তার কলের জলের মত ক্রমাগত ইংরিজি বেরোয়, আর কেবল পটাস্ পটাস্ শব্দ করে, বলে লোকে বিয়েন, না কি মর—মুখে আসে না, তাই বুঝেনা।
গৌরহরি। ওই পটাস্ পটাস্ আর পোড়া বিজ্ঞানই কাল হয়েছে। তোমায় বলবো কি সে একবারে ঘোর উন্মাদ হয়েছে।
চন্দ্রমুখী। তা হ’ক; আমার মাখনের বিয়ে দিয়ে একটি ছোট রাঙ্গা বউ ঘরে এনে আমার মনের সাধ পুরাব। আর ঐযে খ্যাপা খ্যাপা রকম দেখ্চো তা রাঙ্গা বোয়ের মুখ দেখলেই সব যাবে। মা সরস্বতী আমার মাখনকে যে খেপিয়ে তুলেছে সেটা তোমায় বলছি কখনই থাকবে না। আমি মা শীতলার পূজো মেনেচি। ঘোষেদের ছেলেও ঐ রকম চস্মা নিত, দাড়ি রেখেছিল, ঠাকুর দেখলেই তেড়ে যেত, আর বাপ, মা, ভাই, বুন সকলকে