শীতল। গৌরহরি বাবু! আপনাকে বলবো কি, পূজার সময় আমার বৈবাহিক খরচ দিতে কুণ্ঠিত হওয়াতে পূজ্যপাদ, সজীব-দুর্গার সেই নিত্যপ্রস্ফুটিত কোকনদ-সদৃশ চরণ শোভা আশীভরির ডায়মনকাটা নূতন মল চার্-গাছি অতিশয় অনিচ্ছা সত্বেও বিক্রয়, করে এই খড়ো-দুর্গা পূজার সময় খরচ চালাতে হয়েছে। যা’র জন্য আজও অসুর-মর্দ্দিনী মহাশক্তির সাক্ষীস্বরূপ আমার দেহে শতমুখী বিদ্ধচিহ্ণ প্রকাশ পাচ্চে, সেই বৈবাহিককে যে আলিঙ্গন করবার প্রথা প্রচলিত আছে এটা বড় অন্যায়—নিষ্কাম ধর্ম্মের চূড়ান্ত আদর্শ, সাম্যের চিহ্ন, মৈত্রীর কবিতা, জাতীভেদের দীপশিখার ন্যায়।
রামকান্ত। গৌরহরি বাবু! আপনি কল্কেতার একজন বর্দ্ধিষ্ঠ লোক, আপনার উচিত এই লোকাচার বিরুদ্ধ বিজয়ার কোলাকুলী প্রথা তুলে দেওয়া। পৌত্তলিকতার আশ্রয় দেওয়া আপনার ন্যায় লোকের উচিত নহে। এই শুভ দিনে আপনি একবার বলুন—
শীতল। রামকান্ত বাবু! দিন কতক আগে যদি এই পরামর্শ আসায় দিতেন, তাহলে আর এত কষ্ট হ’ত না; আমি স্বয়ং চৈতন্তের মত দুই হাত তুলে
বল্তাম; আমার ঘরের মহিষমর্দ্দিনীকেও একবার কেন,