শীতল। রামকান্ত বাবু! আসুন, Native champagne এ একবার বাহার দেওয়া যাক্।
রামকান্ত। আমাকে মাপ করবেন।
গৌরহরি। কেন রামকান্ত বাবু?
রামকান্ত। আমি Band of hope এ নাম লিখিয়েছি।
শীতল। তোমার সে অরুণ বরণ নীল ফিতে কোথা?
রামকান্ত। সেটা সঙ্গে নাই।
শীতল। কথাটা বড় প্রাণে লাগ্লো না। প্রয়াগের মত তোমার মনের ভাব, আর মুখের কথা, যেন উৎলে উৎলে মুক্ত হয়ে যাচ্চে। আমি তোমার মনের কথাটা বুঝেছি। হিন্দু ধর্ম্মের ভক্ষ্য ভোজ্য হিন্দুধর্ম্মদ্বেষী কালাপাহাড় খাবে কেন? বল দেখি রামকান্ত বাবু! তোমার ব্রাহ্মধর্ম্মের দিব্বি, তোমার আচার্য্যের দিব্বি, তোমার সেই মন্দিরের-বেদীর দিব্বি আমার অনুমান ঠিক কিনা?
রামকান্ত। শীতল বাবু! সে কারণেও যদি হয় তা হলেও ক্ষতি কি?
গৌরহরি। (হাস্য করিয়া) রামকান্ত বাবু। এ কথা সত্য নাকি?
শীতল। আরে মহাশয় সত্য না ত কি? উনি এখন কল্মা ছুঁয়ে কাজি হয়েছেন—আর কেন হয়েছেন তাও আমি বুঝতে পেরেছি—ওঁর দুটো বিয়ে, দ্বিপত্নীক হয়ে উনি কিছু ব্যস্ত হয়েছিলেন; উনি একটিকে ভাল বাসিতেন বা বাসেন; আর একটির অল্প বয়স সুতরাং “বিকার হেতৌ