স্কন্দ-ধাত্রী
স্কন্দে বলে’ “ইন্দ্র হ’য়ে ত্রিলোক তুমিই নাও,
ঈশ্বরতার ঈর্ষাজরা ইন্দ্রকে তাড়াও।”
রুদ্র-সেনায় ইন্দ্র-সেনায় যুদ্ধ আসন্ন,
এমন সময় কে আসে ওই মরাল-নিষণ্ণ।
মাঝে এসে বলেন তিনি, “সম্বরে দেবরাজ,
কী বিপরীত-বুদ্ধি, মরি, দেখি তোমার আজ।
শত্রু তোমার মার্বে যে হায় শত্রু ভেবে তায়
যুদ্ধ কর?—বজ হানে। রুদ্র-শিশুর গায়?
অসুর-কুলের অভিমানের অন্যায়ে জর্জ্জর
অন্যায়ে চা ও জয়ী হ’তে অন্য জনের পর।
রদ্রু-রোষে স্বর্গ-মর্ত্ত হবে যে ছারখার,
অস্ত্র রাখো; এই বালকে দিয়ে সেনার ভার
রথ ঘুরিয়ে এক্লা তুমি যাও ফিরে দুর্গে,
এই শিশু কাল বধ্বে জেনে তাবক-অসুরকে।”
* * *
রুদ্র-সেনার জয়-রবে কে ফির্ল হরষে—
জন্ম যাহার রুদ্র-তেজে বহ্নি-উরসে!
ঘুমে আল হুলাল আমার লড়াই খেলিয়ে,
ময়ূর জাগে তারায়-ঘেরা পেখম মেলিয়ে।
লক্ষ তারা শিশুর সমর দ্যাখার প্রত্যাশে
চোখ চেয়ে সব ঘুমিয়ে গেছে আকাশ-ফরাশে।
হিন্দোলাতে স্কন্দ ঘুমায়, চন্দ্র জেগে থাক্!
ব্রহ্মী-নিশার প্রহর গণি’ ছয় বোনে নির্ববাক্!
চতুর্ম্মখের বাক্য স্মরি’ আশার আশঙ্কায়
আন্দোলিত চিত্ত মুহু, মন কত কি গায়