বজ্র-বোধন
অযুত ঢেউয়ের তপ্ত নিশাস সুপ্তিহারা
ফির্তেছিল হাওয়ায় ছায়া-মূর্ত্তি-পারা
নিদাঘ-দিবস হান্তেছিল আগুন-চাবুক,
লুপ্ত সারা জগৎ হতে সোয়াস্তি সুখ।
শুক্নো পাতার সকল-এড়া শিথিল সুরে
তেপান্তরের তপ্ত তামার চাতাল ঘুরে
উঠ্তেছিল গুমোট ঠেলে মৌন মুখে
বিদ্যুতেরি বিত্ত নিয়ে গোপন বুকে—
সাগর-তড়াগ-হ্রদের নদের তৃপ্তিহারা
উষ্ণ নিশাস, নীরব ছায়া-মূর্ত্তি পারা।
* * *
হঠাৎ কখন্ কোন্ গগনের পাণ্ডু হাওয়ার কোন্ ইসারায়
শরীর পেল এক নিমিষে ওই অতনু সে কোন্ তারায়?
লক্ষ ব্যথার তপ্ত নিশাস পড়ল হঠাৎ ঐক্যে বাঁধা,
জীবন-মরণ-মন্ত্র যেন মন্দ্র-মধুর শব্দে গাঁথা!
আকাশ হ’ল ভাঙড় ভোলার নেশায় ঘোলা চোখের মত,
ঘোর গুমটের গুম্-ঘরে আজ ঘুল্ঘুলি সে খুল্ল শত;
অস্তাচলের সোনার বরণ অঙ্গ হঠাৎ উঠ্ল ঘেমে,
শিউরে সাগর-ঢেউ ঢিমিয়ে থম্থমিয়ে রইল থেমে;
তালের সারি পাণ্ডু-ছবি কাজল মেঘের মূর্ত্তি দেখে
চম্কে উঠে ময়ুর চেঁচায় “কে গা? এ কে? কে গা? এ কে?”