বিদায়-আরতি
ষোলো-আনা মানুষ হবার নিমন্ত্রণ দেলে যে সব জনে,—
সেই মানুষে খুঁজছি মোরা, অহর্নিশি খুঁজছি ব্যাকুল মনে;
নিক্তি ধ’রে করলে তৌল ওজন সে যার ভজবে পুরাপুরি,
লোভের মোহের মন্ত্রণাতে ভাবের ঘরে কর্বে না যে চুরি,
পথ চেয়ে তার সই অনাচার দুঃখ অপার অনন্ত লাঞ্ছনা,
বেশ জানি, “আজ সয় যারা ক্লেশ তাদের তরেই স্বর্গীয় সান্ত্বনা
নিরীহ যেই ধন্য যে সেই ধৃত-ব্রত দৈব মশাল-ধারী
নিঃস্ব যারা তারাই হবে বিপুল ভবে রাজ্য অধিকারী।”
চর্কার গান
ভোম্রায় গান গায় চর্কায়, শোন, ভাই!
খেই নাও, পাঁজ দাও, আম্রাও গান গাই।
ঘর-বা’র কর্বার দর্কার নেই আর,
মন দাও চার্কায় আপনার আপনার!
চর্কার ঘর্ঘর পড়শীর ঘর-ঘর।
ঘর-ঘর ক্ষীর-সব,—আপনায় নির্ভর।
পড়শীর কণ্ঠে জাগ্ল সাড়া,—
দাঁড়া আপনার পায়ে দাঁড়া!
* * *
ঝর্কায় ঝুর্ঝুর্ ফুর্ফুর্ বইছে!
চর্কায় বুলবুল কোন্ বোল কইছে?—
কোন্ ধন দর্কার চর্কার আজ গো?—
ঝিউড়ির খেক্ট আর বউড়ির পাঁজ গো!