এই বলিয়া তাঁহার নিকট বিদায় লইলাম এবং সুশীলের হাত ধরিয়া বাড়ীর সদর দরজায় আগমন করিলাম। পরে সেই শকটে আরোহণ করিয়া সুশীলকে চুপি চুপি বলিলাম, “যাহাতে আর কোন লোক এখান হইতে না যাইতে পারে, তাহার উপায় করিও। সকলের মনের কথা জানা যায় না। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, আংটীটা কোথাও না কোথাও পড়িয়া আছে। কিন্তু যদি বাস্তবিক তাহা হয়, তাহা হইলে একবার প্রত্যেককে জিজ্ঞাসা না করিয়া কোন কার্য্যে হস্তক্ষেপ করা হইবে না।”
আমার শেষ কথা শুনিয়া সুশীল জিজ্ঞাসা করিল, “তবে কি তুমি এ সংবাদ তোমার ডায়েরিতে লিখিয়া রাখিবে?”
আমি ঈষৎ হাসিয়া বলিলাম, “আজ রাত্রে আর লিখিব না। কাল প্রাতে অন্বেষণ করিয়াও যদি উহা বাহির করিতে না পারি, তাহা হইলে বুঝিব যে, কোন লোক নিশ্চয়ই আংটীটী চুরি করিয়াছে! চোরকে কোনরূপে প্রশ্রয় দিতে নাই।”
কিছুক্ষণ কি ভাবিয়া সুশীল বলিল, “তুমি ঠিক বলিয়াছ। চোর যাহাতে শাস্তি পায় তাহার চেষ্টা করিতে হইবে। কিন্তু দেখিও, বিনাদোষে যেন কোন লোক উৎপীড়িত না হয়।”
“সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাক” এই বলিয়া আমি কোচমানকে শকট চালনা করিতে আদেশ করিলাম। সুশীল বিদায় লইয়া বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করিল। কোচমানও শকট চালনা করিল।