পাতা:বিদ্যাপতি ঠাকুরের পদাবলী - নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه لما যে বিস্কাপতির স্বহস্তলিখিত মিথিলার পণ্ডিতমণ্ডলীর ইহা স্থির বিশ্বাস এবং লোকপরম্পরায় এই বিশ্বাস চলিয়া আসিতেছে। প্রত্যেক পত্রের আয়তন ২ ফুট ১-১/২ ইঞ্চি লম্বী, ২-১/৮ ইঞ্চি চওড়া। পত্রের সংখ্যা ৫৭%, পত্রের উভয় পৃষ্ঠে লেখা, প্রত্যেক পৃষ্ঠায় ছয়ট পংক্তি। লিপি স্পষ্ট, অক্ষরের আকৃতি বড়, প্রত্যেক অক্ষর স্বতন্ত্র ও স্পষ্ট, বিরাম ও বিভাগ চিহ্ন সৰ্ব্বত্র বিদ্যমান। কোথাও একটও বর্ণাশুদ্ধি অথবা লিপিপ্রমাদ নাই। কবির যেমন লিপিকৌশল তাহার চিত্তও সেইরূপ সমাহিত। মসী প্রায় সৰ্ব্বত্র স্পষ্ট, কেবল মাঝে মাঝে স্থানে স্থানে অস্পষ্ট হইয়া গিয়াছে। শেষ পত্ৰ কাষ্ঠখণ্ডের ঘর্ষণে ও বন্ধনে অত্যন্ত জীর্ণ হষ্টয়া গিয়াছে, এবং লেখাও অত্যন্ত অস্পষ্ট হইয়া গিয়াছে। গ্রন্থশেষের কথা কয়ট এই—“শুভমস্ত সৰ্ব্বার্থগত সংখ্যা ল সং ৩-৯ শ্রাবণ শুদি ১৫ কুজে রজাবনেলি গ্রামে শ্রীবিদ্যাপতেৰ্লিপিরিয়মিতি।” শেষ ছুইটী অক্ষর (মিতি) পত্রাংশের সহিত ছিন্ন হইয়া গিয়াছে। রজাবনৌলি গ্রাম রাজ বনৌলি (বনপল্লী) গ্রাম, দরভঙ্গ হইতে প্রায় পনর ক্রোশ উত্তৰে । শিবসিংহের রাজ্যারোহণ ২৯৩ ল সং । বিসপী গ্রামের দানপত্রও সেই বৎসরে। ভাগবত গ্ৰন্থ তাছার ষোল বৎসর পরে লিখিত। হস্তলিপি দেখিয়া বয়ঃক্রম অনুমান করা যায় না, কেবল বাল্যকালের অপক লেখা ও বৃদ্ধাবস্থার শিথিল কম্পিত লেখা কিছু কিছু বৃঝিতে পারা যায়। ভাগবত গ্রন্থ মধ্য অথবা প্রবীণ বয়সের লেখা অনুমান হয়। শিবসিংহের রাজ্যারোহণকালে বিদ্যাপতি প্রবীণ পুরুষ, তখনই তাহার পাণ্ডিত্যের ও কাব্যশক্তির যথেষ্ট প্রতিষ্ঠা হইয়াছে। বিদ্যাপতির উপাধি । বিদ্যাপতির কি কি উপাধি ছিল ? মিথিলার পদাবলীতে এষ্ট কয়ট উপাধি পাওয়া যায়—কবিকণ্ঠহার, কবিশেখর, দশাবধান, অভিনব জয়দেব ও পঞ্চানন । প্রথম দুইটী উপাধি বঙ্গদেশে প্রচলিত পদাবলীতেও পাওয়া যায়, কিন্তু কবিশেখর যে বিস্কাপতির উপাধি এদেশে সে বিশ্বাস ছিল না। তাহার কারণ শেখর অথবা রায়শেখর নামক কবি বঙ্গদেশে ছিলেন, কবিশেখর বলিলে লোকে তাহাকেই বুঝে, বিদ্যাপতিকে বুঝে না । গীতচিন্তামণি, পদ্ধামূতসমুদ্র প্রভৃতি প্রাচীন সঙ্কলন গ্রন্থে বিদ্যাপতির যে সকল পদের ভণিতায় কৰিশেখর আছে আধুনিক সঙ্কলনসমূহে তাহার স্থানে বিদ্ধাপতি দেখিতে পাওয়া যায়, কোন পদে কবিশেখরের ভণিতা নাই। অথচ কবিশেখর যে বিদ্যাপতির উপাধি এবং তাহার রচিত বহুসংখ্যক পদে নামের স্থানে কেবল কবিশেখর আছে সে বিষয়ে কোন সংশয় নাই । বিদ্যাপতির নামের সহিতও কবিশেখর উপাধির যোগ দেখিতে পাওয়া যায় ৪— ভনষ্ট বিদ্যাপতি কবিবরশেখর পুহুমী তেসর কর্হ। রাজা শিবসিংহ রূপনরায়ন মালতি সেনিক জই ॥ কবিকণ্ঠহার উপাধি সম্বন্ধে কোন মতভেদ নাই। তথাপি এদেশের সঙ্কলন গ্রন্থে ৰে পদে বিদ্যাপতি কৰিকণ্ঠহার এইরূপ ভণিতা আছে তাহাই বিদ্যাপতির বলিয়া গৃহীত হইয়াছে, যাহাতে छधू कविकछैशंग्न श्रां८छ् তাহা গৃহীত হয় নাই। দশাবধান একটি মাত্র পদে পাইয়াছি। অভিনব অথবা নব জয়দেব কয়েকটি পদে আছে। কৰিশেখর ভণিতাযুক্ত পদের সংখ্যাই অধিক। ক