পাতা:বিদ্যাপতি ঠাকুরের পদাবলী - নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>|é/o হয় না, মিথিলায় আবৃত্তির সময় সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি থাকে, এবং প্রধানত সেই কারণে পদাবলীর লিপিপ্রণালী ছন্দের অনুযায়ী। একই পদে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে একই শব্দের বানান দুই রকম দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার কারণ কেবল ছন্দের অনুরোধ। যেমন—জুবল মনমথ পুন জে জুবাএব সেছে কলাবতি নারী। যুদ্ধ শব হইতে ঝল ও জুৰাএব ; এই শব্দে হ্রস্ব ও দীর্ঘ উকার দুই পাওয়া যাইতেছে। তাহার কারণ আবৃত্তি করিবার সময় প্রথমটা দীর্ঘ ও দ্বিতীয়ট হ্রস্ব উচ্চারণ করিতে হইবে। সেইরূপ কলাবতি শব্দের পরিবর্তে কলাবতী লিখিলে ছন্দের দোষ হইবে। এরূপ পরিবর্তনে এ দেশের প্রায় সকল পদষ্ট দোষাশ্রিত হইয়াছে। সমস্ত পদ উদ্ধার করা অসম্ভব, সুতরাং কয়েকট মাত্র खेलांश्ब्र° ७थम*िऊ झझेण ।--- রসবতী রমণী রতন ধনী রাই। রাস রসিক সহ রস অবগাই ॥ আধুনিক সংস্করণে এ পদ এই আকার ধারণ করিয়াছে। মূল পাঠ এইরূপ— রসবতি রমণি রতন ধনি রাহী । রাস রসিক সহ রস অবগাহী ॥ রাহী রাধা শব্দ হষ্টতে, ধ স্থানে হ হইয়াছে। হ্রস্ব ইকারাস্ত রাই শব্দ হইলে এখানে ছন্দের দোষ হয় । মিথিলার পদাবলীতে রাহী শব্দ অনেক স্থানে পাওয়া যায়— जरुअहि श्नाग्नि बफ़ि ब्रांशै । কি করতি অধিক পসাহী ॥ রাধার বিরহের অবস্থায় দূতী গিয়া মাধবকে কহিতেছে— কি কহব মাধব কি করব কাজে । পেখমু কলাবতী প্রিয় সখী মাঝে ॥ পেখলু বাঙ্গলা ভাষার প্রয়োগ, অতএব অশুদ্ধ। মিথিলা ভাষায় পেখল, পেখলে এই দুই আকার হইতে পারে। যেটা ছন্দের উপযোগী সেইটী ব্যবহৃত হইবে। এই পংক্তির পাঠ এইরূপ হইবে— পেখল কলাবতি প্রিয় সখি মাঝে । কতকগুলি শব্দ, যেমন কে, যে, সো, মিথিলা ভাষায় আদৌ নাচ, এদেশে ব্রজবুলির অনুকরণ করিতে গিয়া বিভাপতির পদাবলীতে প্রবেশ করাইয়া দেওয়া হইয়াছে। ব্রজবুলি এবং মিথিলার ভাষায় সাদৃপ্ত থাকিলেও দুই ভাষা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। কে, যে, সে যেমন বাঙ্গল ভাষায় ব্যবহৃত হয়, মিথিলা ভাষায়ও সেইরূপ হয়, এবং বিভাপতির রচনাতেও সেইরূপ আছে। সুধামুখি কে বিহি নিরমিল বালা-হুইবে কে বিছি। যো বিজু তিল এক রহই ন পারিয় সো ভেল পর অন্ধুরাগী । 嘯 যে শব্দের পরিবর্তে যে এবং সোর স্থানে সে হইবে। কোই, ঘোই, সোই শব্দের প্রয়োগ আছে। না, নাহি শব্দ কুত্ৰাপি প্রয়োগ হইবে না, অথচ সৰ্ব্বত্রই দেখিতে পাওয়া যায়। ইহাতেও ছন্দ ভঙ্গ হয়। ন, নছি, নই, এই তিন আকারে বিদ্যাপতির পদে দেখিতে পাওয়া যায়। লিপির পরিবর্তনে সময় সময় অর্থের গোল হয়। পঙার শব্দের অর্থ দুই, বানান এক রকম। অধর নীরস জনি স্বরঙ্গ পঙার শব্দের অর্থ প্রবাল,