পাতা:বিদ্যাপতি ঠাকুরের পদাবলী - নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հնդe প্রাচীন ভাষা, পরবর্তী কবিগণের ভাষা আধুনিক ভাষা । মিথিলায় বিদ্যাপতির পদাবলীর সামান্ত পরিবর্তন ঘটিয়াছে, প্রাচীন শব্দের স্থানে কোথাও আধুনিক শব্দ প্রযুক্ত হইয়াছে, কিন্তু সম্পূর্ণ বিকৃতি অথবা অর্থবৈষম্য হয় নাই। তবে মূল পদের ভাষাতেই পার্থক্য লক্ষিত হয়, তাহার কারণ বিদ্যাপতি মিথিলা ভাষার আদি কবি, অনেক রূপ ভাষা পরিবর্তন হইয়া ক্রমে তাহা মার্জিত ও সরল হয়। কতকগুলি শব্দবিপর্যায়ও তালপত্রের পুথি হইতে সংশোধিত হইয়াছে। যেমন জনি ও জন্তু। দুইটিকে এক শব্দ করিয়া প্রচলিত পদাবলীতে ব্যবহার করা হয়, অর্থ কখন যেন, কথন না কিংবা যেন না। তালপত্রের পুথিতে সেরূপ প্রয়োগ নাই । দুষ্টটি স্বতন্ত্র শব্দ–জনি অর্থে যেন, জন্তু অর্থে না । এষ্টরূপ বঙ্গদেশে প্রচলিত পদাবলীতে কে, যে, সে প্রভৃতি শব্দের পরিবর্তে কে, যে, সে দেখিতে পাওয়া যায় ব্রজবুলি অথবা হিন্দীতে এই সকল শব্দ ব্যবহৃত হয়, মিথিলা ভাষায় নয়। এই পুথিতে সৰ্ব্বত্র কে, সে ইত্যাদি অাছে, এবং মিথিলায় ঐ আকারেই ব্যবহার হয়। শব্দের বানান লইয়া বড় গোল বাধিয়াছিল। ইকার, উকার, শ, জ, ন প্রভৃতি বটতলার পুস্তকে ও এদেশের হাতে লেখা পুথিতে একেবারে শাসন"ষ্ঠ বিবেচনা হয়। সেই কারণে বিস্কাপতির যে সকল স্বতন্ত্র সঙ্কলন প্রকাশিত হইয়াছে, তাহদের কয়েকটিতে বর্ণাশুদ্ধি সংশোধিত হইয়াছে। আমাদের চক্ষে ইহা উত্তম হইয়াছে, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ঘটিয়াছে বিপরীত, ংশোধন করিতে গিয়া আমরা শুদ্ধকে অশুদ্ধ করিয়াছি । স্মরণ করা কর্তব্য যে বিদ্যাপতির পদাবলী ৫০০ বৎসর পূর্বের রচনা, তখন দুইটি ভাষা প্রধান ছিল, সংস্কৃত ও প্রাকৃত ; মিথিলা বা বাংলা প্রাদেশিক ভাষার সৃষ্টি হয় নাই। সংস্কৃতে ও প্রাক্লতে শব্দের বানানের নিয়ম একেবারে স্বতন্ত্র। বিদ্যাপতি সংস্কৃত শব্দ, প্রাক্লতে ঐ শব্দ বিজ্জীবই হয় । প্রিয় সংস্কৃত, পিআ প্রাকৃত, কোনটীর আকার পরিবর্তন করা যায় ম। পদাবলীর ভাষা একেবারেই সংস্কৃতের অনুরূপ নয়, বরং কিছু প্রাকৃতের অনুরূপ। ক্রমে মিথিলা ভাষা হইয়া দাড়াইয়াছে। প্রাচীন পুথি বা পুস্তকের বানান কেবল যে লিপিকরের প্রমাদ এরূপ অনুমান করাই ভ্ৰম । এষ্ট তালপত্রের পুথি হইতে তাহ বিশেষ রূপে প্রমাণিত হইয়াছে। লিপিকর কৃতবিদ্য ছিলেন তাহাতে কোন সংশয় নাই। প্রহেলিকাদির টীকা, দুরূহ শব্দাদির সংক্ষিপ্ত সংস্কৃত টীকা হইতেষ্ট বুঝিতে পারা যায় যে লিপিকর অজ্ঞ ছিলেন না। এই তালপত্রের পুথিতে বিদ্যাপতির রচিত কয়েকটি সংস্কৃত পদ আছে। তাহাতে একটিও বর্ণাশুদ্ধি নাই। অতএব ভাষার পদ সমূহে যে সকল বানান ভুল मप्न श्ञ cनeणि इंझांझङ । हेशग्न कांज्ञ१ कि ? প্রথম কারণ পূৰ্ব্বেষ্ট নির্দেশিত হইয়াছে। পদাবলীর ভাষা সংস্কৃত নয়, শব্দ বানান করিবার প্রণালীও ংস্কৃতের অনুরূপ নয়। ঠিক প্রাকৃতের মতও নয়। সংস্কৃতে যে সকল নিয়ম আছে তাছা রক্ষিত হয় ন, প্রাকৃতের নিয়মান্ধিও রক্ষিত হয় না। ঋ, র, ষয়ের পর সংস্কৃতে ণ হয়, পদাবলীর শব্দের বানানে সে নিয়ম নাই। শয়ের প্রয়োগ বড় বিরল। সৰ্ব্বত্রই 'চরন’ লেখা, চরণ দেখিতে পাওয়া যায় না। শ DD DDDD DD DS BD D BB DDS DD BB BBB BB BBDD DDS DBB BDD DDD উচ্চারণ খয়ের মত, এজন্য ষ স্থানে খ ও খ স্থানে ষ লিখিত হয় । দ্বিতীয় কারণ, শব্দের বানান উচ্চারণের अष्ट्रक्कन । बलछांबांब्र पूबउँौ ७ छुवडौ उँङबक्रन गिथिएण७ डेफ्रांब्र१ ७कक्र”, किरू बिषिणां खांबाब्र ब লিখিলে উচ্চারণ র হইবে । সংস্কৃত শব্দ যুবতী । কিন্তু বিদ্যাপতির পদাবলীতে উচ্চারণ জুবতী, এই জন্য ভালপত্রের পুৰিতে জুবতী লিখিত আছে। জৌবতী শব্দ কবিপ্রয়োগ। এইরূপ এষ্ট তালপত্রের