পাতা:বিদ্যাপতি ঠাকুরের পদাবলী - নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলোচনী । ১২৮২ সালের জ্যৈষ্ঠমাসের বঙ্গদর্শনে স্বর্গগত রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় যে প্রবন্ধ প্রকাশ করেন, তাহাতে বিষ্ঠাপতির প্রকৃত ইতিহাস নির্ণয়ে যুগান্তর উপস্থিত হয়। তৎপূৰ্ব্বে এই কবির সম্বন্ধে লোকে যাহা জানিত, তাহা লোকপ্ৰবাদমাত্র। প্রকৃত কথা কেছ জানিত না জানিবার তেমন কোন প্রয়াসও হয় নাই। রাজকৃষ্ণ বাবু প্রভূত পরিশ্রম স্বীকার করিয়া, অসামান্স মৌলিক গবেষণা দ্বারা কবির সম্বন্ধে ঐতিহাসিক তথ্য নিরূপণ করিলেন। প্রচুর প্রমাণ দ্বারা তিনি যে কয়েকটি সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছিলেন, সেগুলি হার নিজের ভাষায় উদ্ভূত হইল।--(১) মৈথিণভাষায় রচিত অনেক গীত মিথিলায় প্রচলিত আছে, এবং ঐ সকল গীতের ভণিতায় রাজা শিবসিংহ রূপনারায়ণ ও লখিমাদেবীর উল্লেখ দুষ্ট হয়। (২) মিথিলার পঞ্জীগ্রন্থে বিদ্যাপতির পরিচয় পাওয়া যায়। (৩) রাজা শিবসিংহ মিথিলার বাজা ছিলেন ও লখিমাদেবী তাহার प्रश्शिौ हिरणन, झेश °औ&इ ७ छनथरांन वांज्ञां निशौठ झग्न । ( 8 ) विश्रांश्रङिद्र cरुॉन ८कॉन कविठ ७ র্তাহার মৃত্যু সম্বন্ধে মিথিলায় আশ্চৰ্য্য উপাখ্যান প্রচলিত আছে, বাংলাদেশে নাই । ( e ) বিদ্যাপতি শিবসিংহ রাজার নিকটে বিস্ফীগ্রাম দান পাইয়াছিলেন ; ধানপত্র অদ্যাবধি বর্তমান আছে ; এবং উহার বলে কবির উত্তরাধিকারিগণ উক্ত গ্রাম ভোগদখল করিয়া তথায় বাস করিতেছেন। (৬) বিদ্যাপতির হস্তলিখিত শ্ৰীমদ্ভাগবত অস্থাপি তৰংশয়দিগের নিকটে মিথিলায় দেখিতে পাওয়া যায়। (৭) রাজা শিবসিংহের ভ্রাতৃবংশীয়ের হৃতরাজ্য হইয়া মিথিলায় আছেন। (৮) বিদ্যাপতি লিখিত পুরুষপরীক্ষা, দুর্গাভক্তিতরঙ্গিণী ও অন্যান্ত অনেক সংস্কংত পুস্তক মিথিলায় প্রচলিত দেখা যায়, আর কোথাও পাওয়া যায় না । (৯) এষ্ট সকল পুস্তকে তাৎকালিক রাজাদিগেব যেরূপ পরিচয় আছে, পঞ্জীগ্রন্থে মিথিলার রাজাদিগের সেক্টরূপ পরিচয় পাওয়া যায়। ( ১০ ) বিদ্যাপতিরাচত মৈথিল গীতের সঠিত বঙ্গদেশে প্রচলিত তদীয় গীতের সাপ্ত দৃষ্ট হয়।” রাজকৃষ্ণবাবুর এই দশটি সিদ্ধান্ত এতাবৎকাল প্রামাণ্য বণ্ডিয়াছে, কোনটিই খণ্ডিত অথবা ভ্রান্ত প্রমাণিত হয় নাই। দুষ্টটির সম্বন্ধে কিছু বক্তব্য আছে। বিদ্যাপতির স্বহস্তলিখিত শ্ৰীমদ্ভাগবত আমি দেখিয়া আসিয়াছি ; দানপত্রের প্রতিলিপিও প্রকাশিত হইয়াছে। বিস্ময়ের কথা এষ্ট যে, কবির রচিত অমূল্য পদাবলী ও র্তাহার রচিত বহুতর সংস্কৃতগ্রন্থের একখানিরও পাণ্ডুলিপি অথবা তালপত্র তাহার বংশধরদিগের অথবা অপর কাছারও নিকট পাওয়া যায় না, অথচ সম্ভবত সে গুলি তাহার বিশেষ আদরের ও স্বত্বের সামগ্রী ছিল। বিস্ফীগ্রামের দানপত্র সম্বন্ধেও নূতন তথ্য নিরূপিত ইয়াছে। রাজকৃষ্ণবাবুর প্রবন্ধে উক্ত দানপত্রের একাংশ উদ্ধত হইয়াছিল। প্রায় দশবৎসর পরে গ্রিয়ার্সন দানপত্রের সম্পূর্ণ প্রতিলিপি পাষ্টয়া Indian Antiquary পত্রে প্রকাশ করেন। সে সময় পৰ্য্যন্ত তিনি মূল দানপত্র দেখিতে পান নাট। কিছুদিন পরে দানপত্রের তাম্রলিপি পাইয় তাহার প্রতিকৃতি এসিয়াটিক সোসাইটির কৰ্ম্মবিবরণীতে ( Proceedings ) প্রকাশ করেন। আরও কিছুদিন পরে তিনি নিঃসংশয়ে প্রমাণ করেন যে, তাম্রলিপি কৃত্রিম, আসল নছে। বোধ হয়, মূল দানপত্রপানি হারাইয়া বা নষ্ট হইয়া যাওয়াতে বিস্কাপতির কোন বংশধর একখানি নূতন তাম্রলিপি প্রস্তুত করাইয়া থাকিবেন, এবং সেই जबग्न ठांशंकड डांब्रिtथब्र cणांण शांकिग्रां यांब्र।