এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।
ক্ষমা করিবেন, প্রতিশ্রুত হইলে আমি বলিতেছি। সাহেব ভাবিয়া উঠিতে পারিলেন না, এতবড় অপরাধটা কি? অভয় দান করিলে বিদ্যাসাগরমহাশয় স্বকৃতাপরাধ ব্যক্ত করিলেন। কাগজ লইয়া যাওয়া হইতে বিক্রয় করা পর্য্যন্ত আনুপূর্ব্বিক সমস্ত বিষয় বিবৃত করিলেন। সাহেব বুঝিলেন তাঁহার সাধু উদ্দেশ্য বিফল হইল। বিদ্যাসাগর মহাশয় বুঝিলেন তাঁহার সাধু উদ্দেশ্য সফল হইল। সাহেবেরা বড়একটা এমত ব্রাহ্মণ দেখিতে পান না বলিয়াই আমাদিগকে সর্ব্বদা অর্থের কুহকে প্রলোভিত করিয়া কত প্রকারে লাঞ্ছিত করেন। তাঁহারা জানেন যে প্রকৃত ব্রাহ্মণের কাছে অর্থ অনর্থের মূল, অর্থ সঞ্চয় অপেক্ষা বিপদ আর কিছুই নাই। হায়! এ প্রকার ব্রাহ্মণ আর অধিক নাই, তাই আমাদিগকে প্রতিনিয়ত এত বিড়ম্বনা ভোগ করিতে হইতেছে। আমাদের কষ্টের কারণ আমরাই করি, পরকে নিমিত্তের ভাগী করি মাত্র।