পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।

বক্তৃতার কথা মনে থাকিত না, তাঁহার কথিত বিষয় হৃদয়ঙ্গম হইয়া তদনুযায়ী কার্য্য হইত। যেখানে তাহা না হইল, সে খানে বক্তৃতার প্রশংসা হইল বটে, কিন্তু বক্তার শ্রম নিষ্ফল হইল। উপরে ভাষা সম্বন্ধে যাহা উল্লেখ করিলাম, বক্তৃতা সম্বন্ধে যাহা বলিলাম, বেশভূষা সম্বন্ধেও ঠিক তাহাই বলা যাইতে পারে। যে খানে বেশভূষা, মানুষ ছাড়াইয়া উঠে, সে খানে বেশভূষারই প্রাধান্য থাকে; সেখানে বেশভূষার প্রশংসা হইতে পারে কিন্তু যাহার সে বেশভূষা তাঁহার কি হইল? তিনি খাট হইয়া পড়িলেন। তা সে বেশভূষা খুব বহুমূল্যই হউক বা সে যৎসামান্যই হউক। মোট কথা, আমার বক্তব্য এই যে, যে যেমন লোক তাঁহার সেইরূপ বেশভূষাই ভাল; তাহাতে অবস্থার প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া যতটা সামান্য করা যাইতে পারে তাহা করাই ভাল, তাহাকেই সরলতা বলে। তাহার অভাবের নাম অহঙ্কার বা অভিমান। বিদ্যাসাগর মহাশয় এত বড় লোক ছিলেন, সামান্য চটা যুতা থান কাপড় কি তাঁহার উপযুক্ত