পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।

পারিলে যে তিনি বুঝিতেন না, এ কথা ঠিক নহে। তাঁহার একাগ্রতার কথা অনেকেই জানেন, আমি এস্থলে দুই একটা কথামাত্র বলিব। তাঁহার এক সহোদরের বিবাহ কালে তিনি ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে কাজ করিতেন। বীর সিংহের বাটীতে বিবাহ। তথায় তাঁহার মাতা ও সহোদরগণ আছেন, তিনি সকলের বড়। বিবাহ কার্য্যে তাঁহার উপস্থিতি একান্ত বাঞ্ছনীয় ও আবশ্যক। বিশেষতঃ তিনি না উপস্থিত থাকিলে তাঁহার মাতা মনোকষ্ট পাইবেন - তিনি এই সকল ভাবিয়া কলেজের অধ্যক্ষকে যথাসময়ে ছুটীর জন্য আবেদন করিলেন। ভ্রাতার বিবাহে ছুটীর আবশ্যকতা সাহেব বুঝিবেন কেন? সাহেব ছুটী দিলেন না, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আবেদন অগ্রাহ্য করিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় ক্ষুণ্ণ মনে বিষণ্ণ ভাবে বাসায় ফিরিলেন। তৎপরে তিনি সমস্ত রাত্রি সেই ভাবনা ভাবিয়াছেন ও কাঁদিয়াছেন। এ কান্না বাটী প্রিয় লোকের বাটী যাওয়া হইল না বলিয়া কান্না নয়, স্ত্রীপুত্র