হইবে এমন কথন হয় না। নানা কারণে পরস্পর পার্থক্য থাকে, সেই পার্থক্য বশত মর্য্যাদার বিভিন্নতা হইয়া থাকে, সেই মর্য্যদা রক্ষা করা সমাজবন্ধনের মূলগ্রন্থি। তাহা নিজের জন্য নহে, তাহা সমাজের সুশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য, সকলের সুবিধার জন্য। যাহারা সমাজবদ্ধ হইয়া বাসকরে তাহাদেরই এই নিয়ম। এমন কি অনেক নিম্ন শ্রেণীর জীবের ভিতরও এই মর্যাদার তারতম্য লক্ষিত হয়। পিপীলিকা মধু মক্ষিকাদের ভিতর সর্ব্বদাই ইহার প্রমাণ পাওয়া যায়। অসভ্য মানবের ভিতর যাহারা দলবদ্ধ হইয়া বাস করিতে আরম্ভ করিয়াছে তাহাদের ভিতরও এই মর্য্যাদা রক্ষার লক্ষণ লক্ষিত হয়। পূর্ব্বেই বলিয়াছি এই মর্য্যাদা রক্ষা করা সামাজিক লোকের সর্ব্বদা কর্ত্তব্য, তাহাতে যাহার মর্যাদা করিতে হয় তাঁহার উপকার নহে সমগ্র সমাজের উপকার। বিদ্যাসাগর মহাশয় এই মান মর্য্যাদা বড়ভাল বুঝিতেন, তাহাতে সময়ে সময়ে তাঁহাকে অনেক দায়ে ঠেকিতে হইয়াছিল। কিন্তু তাঁহার
পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/৪৮
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।
