সম্পন্ন নৃপশ্রেষ্ঠ যুধিষ্ঠির সকলই বুঝিলেন। কে ব্রাহ্মণ, কি জন্য ভিক্ষার্থী হইয়া আসিয়াছিলেন সমস্তই বুঝিলেন। বুঝিয়া ভগবানের শরণাপন্ন হইলেন, বলিলেন দর্পহারী শ্রীমধুসূদন, বাস্তবিকই আমার বড় অহঙ্কার হইয়াছিল তাহার উপযুক্ত শিক্ষা পাইয়াছি। যুধিষ্ঠির শিক্ষা পান আর নাই পান, এই উপাখ্যান হইতে আমরা যথেষ্ট শিক্ষা পাইতেছি। যিনি প্রকৃত দানধর্ম্মে দীক্ষিত তিনি অবস্থা দেখবেন না, কালাকাল দেখিবেন না, পাত্রাপাত্র দেখিবেন না, ফলাফল দেখবেন না। দান করিতেই তাঁহার প্রীতি, তাহাতে আর কিছু স্বার্থ চাহেন না। দান সম্বন্ধে আমার এই কথা বলিবার কারণ আর কিছু নহে, বিদ্যাসাগর মহাশয় যেরূপ ভাবে দান করিতেন তাহা জগদ্বিখ্যাত। তিনি কখন কালাকাল,পাত্রাপাত্র, অবস্থা বা ফলাফল বিবেচনা করিতেন না। তজ্জন্য তাঁহার জীবদ্দশায় অনেকে তাঁহাকে অনেক দোষ দিতেন, তাঁহার পরলোক গমনের পর অনেকে অনেকরূপে সমালোচনা করিয়া
পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/৬৮
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
বিদ্যাসাগর- প্রবন্ধ।
