পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।
৯১

করিয়া বলিলেন, বাপু সেখানে যাইলে থাকি ভাল বটে, কিন্তু আমার যদি অতুল ঐশ্বর্য থাকিত তাহলে সেখানে গিয়া নিশ্চিন্ত হইয়া থাকিতে পারিতাম, মন ও ঠাণ্ডা থাকিত, শরীর ও সুস্থ হই। আমার সে অদৃষ্ট কৈ? আমার সে ক্ষমতা কৈ? আমি সেখানে গিয়া দিব্য অন্ন বাঞ্জন আহার করিব, আর আমার চারি পার্শ্বে অসংখ্য নরনারী বালক বালিকা অনাহারে মারা যাইতেছে দেখিব। এটা কি প্রাণে সয়। এই বলিয়া তিনি তথাকার লোকের দারিদ্র্য বর্ণনা করিতে লাগিলেন। কিরূপে যে ব্যক্তি একসের চাউলের অন্ন,আধসের অরহরের ডাল আধসের আলু ও একসের মাংস অন- মাসে ভক্ষণ করিতে পারে সেই ব্যক্তি প্রতি- নিয়ত পোয়াটাক ভুট্টার ছাতু খাইয়া প্রাণ ধারণ করিয়া দিন দিন ক্ষীণ হইয়া স্বভাবের অনিবার্য নিয়মে অল্পদিন মধ্যেই কালের করাল কবলে নিপতিত হয়। যখন তিনি এই সকল বর্ণনা করিতে লাগিলেন তাঁহার দুই নেত্র হইতে অজস্রধারে অশ্রু বর্ষণ হইতে