বিদ্যাসাগরের পত্রে কোনোই ফল হয় নাই। তবে এই ব্যাপারে ছোটলাট তাঁহাকে সম্পূর্ণরূপে দোষমুক্ত করিয়াছিলেন। তিনি সমস্ত চিঠিপত্র ১অই জুন তারিখের ‘হিন্দু পেটি য়ট’ পত্রে প্রকাশিত করিয়া জনসাধারণের মন হইতে তাঁহার সম্বন্ধে ভুল ধারণা অপসারিত করিয়াছিলেন।
গণশিক্ষা
জনসাধারণের জন্য অল্প খরচার বিদ্যালয়ের কিরূপ ব্যবস্থা করা যায় সেই বিষয়ে এবং সাধারণভাবে বাংলা-শিক্ষার বিস্তার ও উন্নতিসাধনের উপায় সম্বন্ধে ভারত-সরকার বাংলার ছোটলাট গ্র্যাণ্ট সাহেবের মতামত জিজ্ঞাসা করিলেন। নিজের মত প্রকাশ করিবার পূর্ব্বে ছোটলাট শুধু শিক্ষা বিভাগের কর্ম্মচারীদের নহে, গ্রাম্য বিদ্যালয় সম্বন্ধে যাঁহাদের অভিজ্ঞতা আছে অথবা কৃষকের কল্যাণসাধনে যাঁহারা সচেষ্ট এরূপ কয়েকজন ইউরোপীয় এবং ভারতবর্ষীয় ভদ্রলোকের বক্তব্য জানিতে চাহিলেন। ইহার মধ্যে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর একজন। বিদ্যাসাগর এ বিষয়ে ছোটলাটকে যাহা লিখিয়াছিলেন তাহার সারাংশ নিয়ে উদ্ভূত হইল:—