পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৮
বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ
হইয়া যায়। এই কারণে আমি দৃঢ়ভাবে প্রস্তাব করিতেছি, এই নিয়ম যেন অবিলম্বে উঠাইয়া দেওয়া হয়।” (১১ই জানুয়ারি, ১৮৬৫)

 ছাত্রদের পরবর্ত্তী ব্যবহারে ওয়ার্ডস ইনষ্টিটিউশনের সুনাম বাড়ে নাই। দেশীয় সংবাদপত্র-সমূহে বলা হইতে লাগিল, পরিচালক ডাঃ রাজেন্দ্রলাল মিত্রের কুদৃষ্টান্ত নাবালক ছাত্রদের পক্ষে হিতকর নহে; লোকে তাঁহার নৈতিক চরিত্রের উপর প্রকাশ্যভাবে দোষ আরোপ করিতে লাগিল। ১৮৬২ সালের ২০ ডিসেম্বর তাহেরপুরের জমিদার চন্দ্রশেখর রায় এবং রাজশাহী ও নিকটবর্ত্তী জেলার আরও ষাটজন জমিদার প্রতিষ্ঠানটির নানাবিধ ত্রুটি দেখাইয়া সরকারের নিকট এক আবেদন-পত্র প্রেরণ করিলেন। এই পত্রে প্রার্থনা জানানো হইল, স্ব স্ব জেলা-স্কুলে প্রবেশিকা পর্য্যন্ত পাঠ শেষ করিবার পূর্ব্বে নাবালকদিগকে ওয়ার্ডস ইনষ্টিটিউশনে পাঠানো ঠিক হইবে না। ইহাতে তাহারা পারিবারিক প্রভাবের অধীনে থাকিবে, অল্পবয়সে তাহাদিগকে কলিকাতার নাগরিক প্রলোভনের মধ্যে পড়তে হইবে না।

 সরকার প্রথমে প্রতিষ্ঠানটিকে কলিকাতা হইতে মফঃস্বলের কোনো শহরে স্থানান্তরিত করিতে ইচ্ছুক হইলেন, কিন্তু তাহার পূর্ব্বে ওয়ার্ডস ইনষ্টিটিউশনের গঠন এবং পরিচালন প্রণালী সম্বন্ধে রিপোর্ট দিবার জন্য এক কমিটি নিযুক্ত করিলেন (২৪ এপ্রিল, ১৮৬৫)। সে কমিটির সদস্য হইলেন—অস্থায়ী ডি. পি. আই. উড্রো, বোর্ড অফ রেভেনিউ-এর জুনিয়ার সেক্রেটারি লেন, এবং পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। এই ব্যাপারে পণ্ডিত যে স্বতন্ত্র রিপোর্ট দেন তাহা হইতে কিয়দংশ উদ্ধৃত হইল।

“ওয়ার্ডস্ ইনষ্টিটিউশনের উদ্দেশ্য—নাবালক জমিদারদের যথোপযুক্ত শিক্ষাদান করা এবং তাহাদিগকে সমাজের সুযোগ্য সভ্য এবং সৎ জমিদার রূপে গড়িয়া তোলা। কিন্তু এখানে তাহারা যে শিক্ষা