পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

ভূমিকা

মহামহােপাধ্যায় ডক্টর শ্রীহরপ্রসাদ শাস্ত্রী, সি.আই.ই.

 বাংলার লোক বিদ্যাসাগর মহাশয়কে সমাজসংস্কারক বলিয়াই জানে। তিনি বিধবা-বিবাহ চালাইয়াছেন, বহুবিবাহ বন্ধ করিয়াছেন। তাহারা আরও জানে তিনি পড়ার বই নূতন করিয়া লিখিয়াছেন, সর্ব্বপ্রথম দেখাইয়া দিয়াছেন যে বাঙালীও ইংরেজের মত স্কুল-কলেজ করিয়া চালাইতে পারে, সর্ব্বপ্রথম দেখাইয়া দিয়াছেন যে সংস্কৃত ব্যাকরণ বাংলাতেও পড়ানো যায়, সর্ব্বপ্রথম সুরুচিপূর্ণ বাংলা বই তিনিই লিখিয়াছেন। দানেও তিনি বীর ছিলেন,—১৮৬৬ সালে দুর্ভিক্ষের সময় অনেক লোককে নিজে পরিবেশন করিয়া খাওয়াইয়া তাহাদের জীবনরক্ষা করিয়াছেন। তিনি কেমন করিয়া লেখাপড়া শিখিয়াছিলেন, কেমন করিয়া গবর্ন্মেণ্টের চাকুরি পান, কেমন করিয়া সে চাকুরিতে তাঁহার উন্নতি হয় এবং ক্রমে তিনি কলেজের প্রিন্সিপাল ও স্কুলের ইন্‌স্পেক্টার হন, এ সব কথা বাঙালীরা বড়-একটা জানে না, বড়-একটা খোঁজও লয় না। শ্রীযুত ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গে’ সেই না-জানা কথাগুলি গবর্ন্মেণ্টের দপ্তর হইতে চিঠিপত্র দেখিয়া সংগ্রহ করিয়াছেন ও প্রকাশ করিয়াছেন।

 ব্রজেন্দ্রবাবু অনেক বৎসর ধরিয়া গবর্ন্মেণ্টের দপ্তরে যাতায়াত করিতেছেন ও সেখানকার নথি দেখিয়া বাঙলার ইতিহাসে বাঙালীর সম্বন্ধে অনেক না-জানা কথা প্রকাশ করিয়া দিতেছেন। গবর্ন্মেণ্ট রেকর্ড আপিসে বাহিরের লোককে বড় ঢুকিতে দিতে চান না; কিন্তু