পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ
দেওয়া। পুর্ব্বোল্লিখিত পাঠ্যপুস্তকগুলি সুযোগ-মত যথাসাধ্য প্রবর্ত্তন করাও তাঁহাদের কর্তব্যের অন্তর্গত। প্রকৃতপক্ষে পাঠশালাগুলি যাহাতে প্রয়োজনসাধক বিদ্যালয়রূপে গড়িয়া উঠে, সেদিকে তাঁহাদের বিশেষ লক্ষ্য রাখিতে হইবে।
“১৮।  দেশীয় লোক অথবা মিশনরী কর্ত্তৃক স্থাপিত যে-সব স্কুল সুদক্ষ শিক্ষকের হাতে আছে, অবশ্য তাহাদের উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। তত্ত্বাবধায়কেরা এই-সকল বিদ্যালয় পরিদর্শন করিয়া কি রকম উৎসাহ ও সাহায্য তাহারা পাইতে পারে তাহা নির্দ্ধারণ করিবেন।
“১৯।  নিজের নিজের এলাকার অন্তর্গত শহর ও পল্লীগ্রামের অধিবাসীদিগকে গভর্ন্মেণ্ট স্কুলের আদর্শে স্কুল প্রতিষ্ঠিত করিতে প্ররোচিত করাও তত্ত্বাবধায়কদের এক কর্তব্য হইবে। ৭ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৪।”

 হ্যালিডে ব্যয়বাহুল্য বর্জ্জন করিবার উপায় ইউরোপীয় তত্ত্বাবধানের সমর্থন করেন নাই। তিনি মিনিটে লিখিয়াছিলেন,—

“জানি, মাথার উপর কোনো ইউরোপীয় না থাকিলে দেশীয় তত্ত্বাবধায়কদের বেশী বিশ্বাস করিতে পারা যায় না। কিন্তু পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা একজন অসাধারণ লোক, তিনি বিষয়ে যথেষ্ট উৎসাহ ও শক্তি প্রকাশ করিয়াছেন। এই পরীক্ষার ভার তাঁহাকে গ্রহণ করিতে দেখিলে আমি আনন্দিত হইব। পরীক্ষার ফল কি হয়, তাহা দেখিতে তিনি অত্যন্ত উৎসুক এবং আমি সত্যই মনে করি, ইহাতে তিনি সফল হইবেন।”

 কিন্তু শিক্ষা-পরিষদের সদস্যদের অনেকেই—রামগোপাল ঘোষ, স্যর জেম স কোল ভিল, প্রভৃতি—এ প্রস্তাবের অত্যন্ত বিরোধী ছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্রের যোগ্যতা সম্বন্ধে তাঁহাদের এতটুকু সন্দেহ ছিল না। কিন্তু সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ-পদের গুরুভারে কথা স্মরণ করিয়া বিদ্যাসাগরকে