এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্ত্রীশিক্ষা-বিস্তারে বিদ্যাসাগর
৬৫
“এইরূপ করাই যদি শেষে সাব্যস্ত হয়, তাহা হইলে সমস্ত অনুষ্ঠানটিকে শিক্ষা-বিভাগের আরও ঘনিষ্ঠ সংশ্রবে লইয়া যাওয়া বাঞ্ছনীয় হইবে। একজন ইংরেজের সভাপতিত্বে কমিটির দেশীয় সদস্যেরা এতদিন পর্যন্ত বীটন বিদ্যালয় পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন; কিন্তু এই ভদ্র মহোদয়েরা বিভাগীয় স্কুল-ইন স্পেক্টারের সহযোগিতায় পরামর্শ-সভার সভ্যরূপে করিতে রাজী আছেন কি না, ছোটলাট জানিতে চান।” (৩রা মার্চ্চ, ১৮৬৮)[১]
বীটন-স্কুল-কমিটি এই সর্ত্তে বিদ্যালয় পরিচালনা করিতে অস্বীকৃত হইলেন।[২]
ব্যয়সংক্ষেপ করা হইবে, কার্যকারিতাও বাড়িবে, এইরূপ প্রয়োজন- সাধনার্থ সরকার প্রস্তাবিত নর্ম্মাল স্কুল ও বীটন স্কুল একই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগ করিয়া দিলেন। মাসিক তিন শত টাকা বেতনে তিন বৎসরের জন্য মিসেস্ ব্রিট্শে নামে এক মহিলা বীটন ও নর্ম্মাল স্কুলের সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট নিযুক্ত হইলেন। বীটন স্কুল-কমিটি ভাঙিয়া গেল। ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইন্স্ট্রাক্শন্ কমিটির সদস্যদের— বিশেষভাবে কমিটির সুদক্ষ সম্পাদক বিদ্যাসাগরকে—তাঁহাদের অতীত সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ দিলেন।
বিদ্যাসাগর এই নূতন ব্যবস্থা সম্বন্ধে বিশেষ আশা পোষণ করিতেন না সত্য, কিন্তু চাহিবামাত্র কর্ত্তৃপক্ষকে সাহায্য করিতে ত্রুটি করিতেন না। ১৮৬৯, ২রা মার্চ্চ স্কুল-ইনস্পেক্টার উড্রো সাহেব ডিরেক্টরকে লিখিতেছেন,—