পাতা:বিদ্যাসাগর গ্রন্থাবলী (শিক্ষা ও বিবিধ).djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনচরিত—তামস জেঙ্কিন্স Σ Σ ύ বৈজ্ঞানিক সমাজ হইতেও তিনি বিদ্যাসম্বন্ধ নানা মৰ্য্যাদা প্রাপ্ত হয়েন। তিনি, ক্রমে ক্রমে ঐশ্বৰ্য্যশালী হইয়া, অন্সালসন্নিহিত হামার্বি নগরে এক অট্টালিকা ও ভূম্যধিকার ক্রয় করিয়া, জীবনের শেষ পঞ্চদশ বৎসর প্রায় তথায় অবস্থিতি করেন। ঐ স্থানে তাহার প্রাকৃত ইতিবৃত্ত সংক্রান্ত এক চিত্রশালিকা ছিল, তথায় তিনি উক্তবিদ্যাবিষয়ে উপদেশ দিতে আরম্ভ করিলেন । পৃথিবীর নানাভাগস্থিত বিজ্ঞানশাস্ত্রজ্ঞ লোক ও অধ্বনীনবর্গের সাহায্যে, তাহার ঐ চিত্রশালিকার সর্বদাই শ্ৰীবৃদ্ধি হইতে লাগিল । লিনিয়স, জীবনের অধিকাংশ, শারীরিক সুস্থ ও পটু থাকাতে, অতিশয় উৎসাহ ও পরিশ্রম স্বীকার পূর্বক, পদার্থবিদ্যাবিষয়িণী গবেষণা সম্পাদনে সমর্থ হইয়াছিলেন ; কিন্তু ১৭৭৪ খৃঃ অব্দের মে মাসে, অপস্মাররোগে আক্রান্ত হইলেন । এজন্য, অধ্যাপনাসংক্রান্ত যে সকল কৰ্ম্মে গুরুতর পরিশ্রম করিতে হইত, তাহাকে তৎসমুদায় পরিত্যাগ করিতে ও বিদ্যানুশীলনে ক্ষান্ত হইতে হইল । অনন্তর, তিনি ১৭৭৬ খৃঃ অব্দে, দ্বিতীয় বার, কিয়ৎ দিন পরে আর এক বার, ঐ রোগে আক্রান্ত হইলেন। পরিশেষে, ১৭৭৮ খৃঃ অব্দে, জানুয়ারির একাদশাহে, তাহার প্রাণত্যাগ হইল । লিনিয়স পূৰ্ব্বোক্ত গ্রন্থসমূহ ব্যতিরিক্ত ভেষজনির্ণয় এবং রোগনির্ণয় বিষয়ে এক এক প্রণালীবদ্ধ গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি যেরূপ অসাধারণ সাহস, উৎসাহ, পরিশ্রম ও দক্ষত৷ প্রকাশ করিয়াছেন, বিজ্ঞানশাস্ত্রের সমুদায় ইতিবৃত্তমধ্যে অতি অল্প লোকের সেরূপ দেখিতে পাওয়া যায়। তিনি পদার্থবিদ্যাবিষয়ে যে নানা প্রণালী ব্যবস্থাপিত করিয়াছেন, কালক্রমে তৎসমুদায়ের অন্যথাভাব হইলেও হইতে পারে ; কিন্তু, তাহা হইতে উক্ত বিদ্যার যে মহীয়সী শ্ৰীবৃদ্ধি হইয়াছে, তাহার সন্দেহ নাই । সুইডেনের অধিপতি চতুর্দশ চার্লস, ১৮১৯ খৃঃ অব্দে, লিনিয়সের জন্মভূমিতে র্তাহার এক কীৰ্ত্তিস্তম্ভ নির্মাণের আদেশ করিয়াছেন । তামস জেঙ্কিন্স এক্ষণে এমন এক অদ্ভুত ব্যাপার লিখিত হইতেছে যে, তাহা দূর দেশে বা অতীত কালে ঘটিলে, তাহাতে বিশ্বাস জন্মাইবার সম্ভাবনা ছিল না । কিন্তু বর্ণনীয় বিষয় অত্যন্ত সন্নিহিত দেশে ও সন্নিহিত কালে ঘটিয়াছে। সুতরাং কোনও অংশ অপ্রামাণিক বোধ