পাতা:বিদ্যাসাগর গ্রন্থাবলী (শিক্ষা ও বিবিধ).djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

%ხr8 বিদ্যাসাগর-গ্রস্থাবলী—শিক্ষা যে রূপে, যে দেশে, কাচের প্রথম উৎপত্তি হউক, উহা বহু কাল অবধি প্রচলিত আছে, তাহার সন্দেহ নাই। প্রাচীন সংস্কৃত গ্রস্থে কাচের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। মিসর দেশেও, তিন সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে, কাচের ব্যবহার ছিল, তাহার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। ऊल-नतौ–जभूय জল অতি তরল বস্তু, স্রোত বহিয়া যায়, এবং এক পাত্র হইতে আর এক পাত্রে ঢালিতে পারা যায়। পৃথিবীর অধিকাংশ জলে মগ্ন। যে জলরাশি পৃথিবীকে বেষ্টিত করিয়া আছে, তাহার নাম সমুদ্র । সমুদ্রের জল এত লোণা ও এমন বিস্বাদ যে, কেহ পান করিতে পারে না । সমুদ্রের জল সকল স্থানে সমান লোণ নহে ; কোনও স্থানে অল্প লোণ, কোনও স্থানে অধিক । সমুদ্রের উপরিভাগের জল বৃষ্টি ও নদীর জলের সঙ্গে মিশ্রিত হয় ; এজন্য, ভিতরের জল যত লোণ, উপরের জল তত নয়। উত্তর সমুদ্র অপেক্ষা, দক্ষিণ সমুদ্রের জল অধিক লোণ। অল্প পরিমাণে সমুদ্রের জল লইয়া পরীক্ষা করিলে, দেখিতে পাওয়া যায়, উহাতে কোনও বর্ণ নাই। কিন্তু সমুদ্রের রশীকৃত জল নীলবর্ণ দেখায়। নীলবর্ণ দেখায় কেন, তাহার কারণ এ পর্য্যন্ত স্থিরীকৃত হয় নাই । সমুদ্র কত গভীর, এ পর্য্যস্ত, তাহার নির্ণয় হয় নাই। কেহ কেহ অনুমান করেন, যেখানে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক গভীর, সেখানেও আড়াই ক্রোশের বড় অধিক হইবেক না । অনেকে সমুদ্রের জল মাপিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। কেহ ৩১২০ হাত, কেহ ৪৮০০ হাত, কেহ ১৮৪০০ হাত, দীর্ঘ মানরজু সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত করিয়াছিলেন ; কিন্তু কোনও রজুই তলস্পর্শ করিতে পারে নাই ; সুতরাং, সমুদ্রের জলের ইয়ত্ত করা দুঃসাধ্য। লাপ্লাসনামক ফরাসিদেশীয় অতি প্রসিদ্ধ পণ্ডিত বলিয়াছেন, এক্ষণে সমুদ্রে যত জল আছে, যদি আর তাহার চতুর্থ ভাগ অধিক হয়, তবে সমস্ত পৃথিবী জলপ্লাবিত হইয়া যায় ; আর, যদি তাহার চতুর্থ ভাগ নুনি হয়, তাহা হইলে, সমুদয় নদী, খাল প্রভৃতি শুকাইয়া যায়। যথানিয়মে প্রতিদিন সমুদ্রের জলের যে হ্রাস ও বৃদ্ধি হয়, উহাকে জুয়ার ও ভাট বলে। অর্থাৎ, সমুদ্রের জল যে সহসা স্ফীত হইযা উঠে, তাহাকে জুয়ার বলে ; আর, ঐ