পাতা:বিদ্যাসাগর গ্রন্থাবলী (শিক্ষা ও বিবিধ).djvu/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিংহ, শৃগাল ও গর্দভ এক গর্দভ ও এক শৃগাল, উভয়ে মিলিয়, শিকার করিতে যাইতেছিল। কিয়ং দূর গিয়া, তাহারা দেখিতে পাইল, কিঞ্চিৎ অন্তরে এক সিংহ বসিয়া আছে। শৃগাল, এই বিপদ উপস্থিত দেখিয়া, সত্বর সিংহের নিকটবৰ্ত্তী হইল, এবং, আস্তে আস্তে, কহিতে লাগিল, মহারাজ ! যদি আপনি, কৃপা করিয়া, আমায় প্রাণদান দেন, তাহা হইলে, আমি গর্দভকে আপনকার হস্তগত করিয়া দি । সিংহ সম্মত হইল। শৃগাল, কৌশল করিয়া, গর্দভকে সিংহের হস্তগত করিয়া দিল। সিংহ, গৰ্দ্দভকে হস্তগত করিয়া লইয়া, শৃগালের প্রাণবধ করিয়া, সে দিনের আহার সম্পন্ন করিল, গর্দভকে, পর দিনের আহারের জন্তে, রাখিয়া দিল । পরের মন করিতে গেলে, আপনার মন্দ আগে হয়। হরিণ ও দ্রাক্ষালতা ব্যাধগণে তাড়াতাড়ি করাতে, এক হরিণ, প্রাণভয়ে পলাইয়া, দ্রাক্ষাবনের মধ্যে লুকাইয়া রহিল, এবং, ব্যাধেরা আর আমার সন্ধান পাইবেক না, এই স্থির করিয়া, সচ্ছন্দ মনে, দ্রাক্ষালতা খাইতে আরম্ভ করিল। ব্যাধগণ, হরিণের বিষয়ে নিরাশ হইয়া, ঐ দ্রাক্ষাবনের ধার দিয়া, চলিয়া যাইতেছিল। তাহারা, লতাভক্ষণের শব্দ শুনিয়া, বনের দিকে মুখ ফিরাইল, এবং, ঐ স্থানে হরিণ আছে, এই অনুমান করিয়া, শরনিক্ষেপ করিল। সেই শরের আঘাতে, হরিণের মৃত্যু হইল। হরিণ, এই কয়টি কথা বলিয়া, প্রাণত্যাগ করিল যে, যাহার, বিপদের সময়, আমায় আশ্রয় দিয়াছিল, আমি যে তাহাদের অপকারে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম, তাহার সমুচিত প্রতিফল পাইলাম। কৃপণ এক কৃপণের কিছু সম্পত্তি ছিল। সৰ্ব্বদা তাহার এই ভয় ও ভাবন হইত, পাছে চোরে ও দসু্যতে অপহরণ করে। এজন্য, সে বিবেচনা করিল, যাহাতে কেহ সন্ধান না