পাতা:বিদ্যাসাগর গ্রন্থাবলী (শিক্ষা ও বিবিধ).djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালার ইতিহাস—দ্বিতীয় ভাগ 8} করিব। তাহাদের হস্তে অস্ত্র প্রদান করুন, যুদ্ধ করিতে প্রস্তুত আছি। র্তাহার। এই রূপে অস্বীকার করাতে, নবাব শমরু নামক এক যুরোপীয় কৰ্ম্মচারীকে র্তাহীদের প্রাণবধের আদেশ দিলেন । শমরু, পূৰ্ব্বে, ফরাসিদিগের এক জন সার্জন ছিল, পরে, মীর কাসিমের নিকট নিযুক্ত হয়। সে এই জুগুন্সিত ব্যাপারের সমাধানের ভারগ্রহণ করিল ; এবং, কিয়ৎসংখ্যক সৈনিক সহিত, কারাগৃহে প্রবিষ্ট হইয়া, গুলি করিয়া, ডাক্তর ফুলটন ব্যতিরিক্ত সকলেরই প্রাণবধ করিল। আটচল্লিশ জন ভদ্র ইঙ্গরেজ, ও এক শত পঞ্চাশ জন গোরা, এই রূপে, পাটনায় পঞ্চত প্রাপ্ত হইল। শমরু, তৎপরে, অনেক রাজার নিকট কৰ্ম্ম করে ; পরিশেষে, সিরধানীর আধিপত্য প্রাপ্ত হয়। এই হত্যায় যে সকল লোক হত হয়, তন্মধ্যে কোন্সিলের মেম্বর এলিস, হে, লসিংটন, এই তিন জনও ছিলেন । ১৭৬৩ খুঃ অব্দের ৬ই নবেম্বর, পাটনা নগর ইঙ্গরেজদিগের হস্তগত হইল ; মীর কাসিম, পলাইয়া, অযোধ্যার স্থবাদারের আশ্রয় লইলেন । এই রূপে, প্রায় চারি মাসে, যুদ্ধের শেষ হইল। পর বৎসর, ২২এ অক্টোবর, ইঙ্গরেজদিগের সেনাপতি, বক্সারে, অযোধ্যার স্থবাদারের সৈন্য সকল পরাজিত করিলেন । জয়ের পর উজীরের সহিত যে বন্দোবস্ত হয়, বাঙ্গালার ইতিহাসের সহিত তাহাব কোনও সংস্রব নাই ; এজন্য, এ স্থলে সে সকলের উল্লেখ না করিয়া, ইহা কহিলেই পৰ্য্যাপ্ত হইবেক যে, তিনি প্রথমতঃ মীর কাসিমকে আশ্রয় দিয়াছিলেন, পরে, তাহার সমস্ত সম্পত্তি হরণ করিয়া, তাড়াইয়া দেন । মীর জাফর, দ্বিতীয় বার বাঙ্গালার সিংহাসনে আরূঢ় হইয়া, দেখিলেন, ইঙ্গরেজদিগকে যত টাকা দিবার অঙ্গীকার করিয়াছেন, তাহার পরিশোধ করা অসাধ্য। তৎকালে তিনি অত্যন্ত বৃদ্ধ হইয়াছিলেন । র্তাহার রোগ ক্রমে বদ্ধমূল হইয়া আসিয়াছিল। তিনি, ১৭৬৫ খৃঃ অব্দের জানুয়ারি মাসে, চতুঃসপ্ততি বৎসর বয়সে, মুরশিদাবাদে প্রাণত্যাগ করিলেন । র্তাহার উত্তরাধিকারী নিযুক্ত করা দিল্লীর সম্রাটের অধিকার । কিন্তু, তৎকালে, সম্রাটের কোনও ক্ষমতা ছিল না । ইঙ্গরেজদিগের যাহা ইচ্ছা হইল, তাহাই তাহার করিলেন। মণিবেগমের গর্ভজাত নজম উদ্দৌলা নামে মীর জাফরের এক পুত্র ছিল ; কলিকাতার কোন্সিলের সাহেবের, অনেক টাকা পাইয়া, তাহাকেই নবাব করিলেন । তাহার সহিত নূতন বন্দোবস্ত হইল। ইঙ্গরেজের দেশরক্ষার ভার আপনাদের হস্তে \&)