সমাজের কর্ম্মাধ্যক্ষ ডাক্তার ময়েট্ সাহেব, শিক্ষাসমাজের প্রেসিডেণ্ট ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন সাহেব, ইহাঁরা বিদ্যাসাগর মহাশয়কে অত্যন্ত স্নেহ করিতেন এবং ইহাঁরা তিন জনেই তাঁহার উন্নতি, প্রতিপত্তি ও মানসম্রমের আদিকারণ; এই জন্য অগ্রজ, ইহাঁদের প্রতিমূর্ত্তি অঙ্কিত করাইয়া, কলিকাতার বাদুড়বাগানের বাটীতে রাখিয়াছিলেন। তিনি প্রত্যহ উক্ত প্রতিমূর্ত্তিগুলি একবার দেখিয়া থাকিতে পারিতেন না।
মেট্রোপলিটান।
১৮৫৯ খৃঃ অব্দে কলিকাতা ট্রেনিং স্কুল স্থাপিত হয়। ঠাকুরদাস চক্রবর্তী, মাধবচন্দ্র ধাড়া, পতিতপাবন সেন, যাদবচন্দ্র পালিত, বৈষ্ণবচরণ আঢ্য, ইহাঁরাই স্কুলের স্থাপয়িতা এবং শ্যামাচরণ মল্লিক পেট্রন ছিলেন।
ঐ স্কুল-স্থাপয়িতাগণ এবং আরও কয়েকজন দেশীয় ভদ্রলোক, একত্র একটি কমিটি স্থাপন করিয়া, খৃঃ ১৮৬৩ সাল পর্যন্ত উক্ত বিদ্যালয়ের কার্য্য নির্ব্বাহ করেন। কিন্তু পরস্পরের মনোমালিন্যবশতঃ এবং বিদ্যালয়ের অবস্থার অবনতি দেখিয়া, ১৮৬৪ সালে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের হস্তে সমস্ত ভার অর্পণ করেন। কিয়দ্দিবস পরে মেম্বরগণের পরস্পর মনান্তর ঘটিলে, পৃথক্ পৃথক্ স্থানে দুইটি বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। মেম্বরগণ তাঁহাদের স্থাপিত বিদ্যালয়ের নাম ট্রেনিং একাডেমি রাখিয়াছিলেন। কিন্তু অগ্রজ, স্বীয় ব্যয়ে বেঞ্চ প্রভৃতি বিদ্যালয়ের আবশ্যক দ্রব্যাদি ক্রয় করিয়া, মেট্রোপলিটান ইনষ্টিটিউসন স্থাপন করেন। উভয় বিদ্যালয় অতি সন্নিহিত স্থানে স্থাপিত হয়, এবং উভয় বিদ্যালয়ই পরম্পর প্রতিদ্বন্দ্বীভাবে চলিতে লাগিল। অগ্রজ মহাশয়, উপযুক্ত শিক্ষক সকল-নিযুক্ত করিতে লাগিলেন, এবং নিজব্যয়ে বহুমূল্য পুস্তকারি ক্রয় করিয়া, বিদ্যালয়ের লাইব্রেরী স্থাপন ও উত্তম বন্দোবস্ত করেন। ক্রমশঃ এণ্ট্রান্স পরীক্ষায় গবর্ণমেণ্ট বিদ্যালয় অপেক্ষা এখানে বহুসংখ্যক ছাত্র উত্তীর্ণ হওয়ায়,